পাহাড় ধসের আশঙ্কায় চলছে মাইকিং

পাহাড় ধসের আশঙ্কায় চলছে মাইকিং
MostPlay

গত ২ আগস্ট থেকে ভারি বর্ষণে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা, থেকে থেমে থেমে ভারি বর্ষণের ফলে পাহাড়ি উপজেলা কাউখালীতেও দেখা দিয়েছে বড় ধরনের পাহাড়ধসের শঙ্কা। এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় ছোট ছোট পাহাড়ধসের ঘটনাও ঘটেছে। ফলে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে পাঠাতে মাইকিংসহ বাড়ি বাড়ি গিয়ে অনুরোধ জানাচ্ছে উপজেলা প্রশাসন।

শনিবার (০৫ জুলাই) সকাল থেকে উপজেলার চারটি ইউনিয়নের উপজেলা প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকি নিয়ে বসবাসকারীদের আহ্বান জানাতে দেখা গেছে। উপজেলার চারটি ইউনিয়নের ২৬টি এলাকাকে ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ৩৬টি আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

কাউখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সাদিয়া নূরীয়া জানান, শনিবার সকাল থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পাহাড়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরত জনসাধারণকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। বিশেষ করে ঘাগড়া ইউনিয়ন সকল ওয়ার্ডের, কলমপতি ইউনিয়নের সুগার মিল, মাঝেরপাড়া, বেতবুনিয়া ইউনিয়ন ও দুর্গম ফটিকছড়ি ইউনিয়নের সকল এলাকায় ঝুঁকিতে থাকাদের নিরাপদে সরতে বলা হয়েছে।

নিজেরা সরে না এলে আইন প্রয়োগের মাধ্যমে তাদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হবে। পাহাড়ধসের ক্ষতি থেকে রক্ষা পেতে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ২০১৭ সালে জুনে কায়েক দিনের টানা ভারি বর্ষণের ফলে ব্যাপক পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। সে সময় কাউখালীতে পাহাড় ধসে মাটিচাপায় মারা যায় ২১ জন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password