বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে: জাফরুল্লাহ

বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে: জাফরুল্লাহ
MostPlay

হঠাৎ অতর্কিতভাবে ভারত থেকে আসা পানিতে সুনামগঞ্জ, সিলেট ডুবে গেছে। বাংলাদেশকে না জানিয়ে গজলডোবা বাঁধ খুলে দিয়ে ভারত আন্তর্জাতিক অপরাধ করেছে। এখানে আমাদের যে কূটনৈতিক সমাধান প্রয়োজন সেটি আমরা করতে পারিনি। গতকাল ধানমন্ডি - গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের মান্নান হলে এবি পার্টির উদ্যোগে ‘বন্যা ও জলাবদ্ধতার দায় সরকারের মানবিক সংকট মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দের দাবিতে’ নাগরিক সংলাপে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরী এ মন্তব্য করেন।

দলের সদস্য সচিব মজিবুর রহমান মন্জুর পরিচালনায় এতে সভাপতিত্ব করেন দলের আহ্বায়ক ও প্রাক্তন সচিব এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী, নদী বিশেষজ্ঞ প্রকৌশলী ইনামুল হক, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি এডভোকেট মহসীন রশিদ, এনডিপি চেয়ারম্যান খন্দকার গোলাম মোর্তুজা ও মানবাধিকার কর্মী রুবী আমাতুল্লাহ সহ বিশিষ্ট নাগরিকবৃন্দ। বক্তব্য রাখেন এবি পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. মেজর (অব.) আব্দুল ওহাব মিনার, যুগ্ম সদস্য সচিব ব্যারিস্টার আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, মহানগর দক্ষিণের আহ্বায়ক জননেতা বিএম নাজমূল হক, বাংলাদেশ জাতীয় লীগ-এর নির্বাহী সভাপতি ড. শাহরিয়ার ইফতেখার ফুয়াদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. শাহ আরমান, এনডিপি মহাসচিব মন্জুর হোসেন ঈসা, এবি যুব পার্টির সমন্বয়ক এবিএম খালিদ হাসান, কেন্দ্রীয় অর্থ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম এফসিএ, মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আলতাফ হোসেন, সহকারী সদস্য সচিব নাসরীন সুলতানা মিলি, এনডিএম-এর সাংগঠনিক সম্পাদক লায়ন হীরা, এবি ছাত্র উইং-এর সমন্বয়ক মোহাম্মদ প্রিন্স প্রমুখ। ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, যতদিন তিস্তা চুক্তি না হবে ততদিন ভারতকে বাংলাদেশের প্রতিটি বাঁধের তথ্য আমাদের দিতে হবে।

অন্যথায় তাদের সঙ্গে স্বাভাবিক সম্পর্ক বন্ধ করে দেয়া উচিত। তিনি বলেন, ভারতের আয়ের চতুর্থ উৎস হলো বাংলাদেশ। এবি পার্টির উদ্দেশ্যে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, জামায়াতকে অনুরোধ করুন জনসাধারণের সামনে আবারো ক্ষমা চাইতে। মানবাধিকার অপরাধ তারা তো আর করে নাই। পিতৃ পুরুষরা করেছেন। তিনি বলেন, জামায়াত ক্ষমা চাইলে তাদের শক্তি আরও বৃদ্ধি পাবে। সামনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সব দলকেই শরিক হতে হবে। এতে আন্দোলনের শক্তি বাড়বে।

প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, পদ্মার পাড়ে ১০ লাখ লোকের জামায়াত করে অর্থ অপচয় না করে সিলেট অঞ্চলের বন্যার্তদের পাশে দাঁড়াতে হবে। এতেই এ অঞ্চলে মানবিক বিপর্যয় রোধ করা যাবে। তিনি আরও বলেন, সামনে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে সব দলকেই শরিক হতে হবে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রফেসর ড. দিলারা চৌধুরী বলেন, আমাদের সে সরকার কোথায় যে সরকার জনগণের কথা চিন্তা করবে? রাজনীতিবিদ হলো সে যে মানুষ জনগণের পালস রিফিউ করতে পারে। মানুষ কি চায় সেটা জানতে পারে। বন্যা ব্যবস্থাপনায় এবি পার্টি আয়োজিত (আমার বাংলাদেশ পার্টি) নাগরিক সংলাপে ১৪ দফা প্রস্তাব উপস্থাপন করেন এএফএম সোলায়মান চৌধুরী। বন্যা ও জলাবদ্ধতার দায় সরকারের মানবিক সংকট মোকাবিলায় সর্বোচ্চ অর্থ ও খাদ্য বরাদ্দের দাবিতে এ সংলাপের আয়োজন করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password