তিস্তা ব্যারেজ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দিলো ভারত

তিস্তা ব্যারেজ খুলে দিয়ে বাংলাদেশকে ডুবিয়ে দিলো ভারত
MostPlay

ভাঙল তিস্তার বাঁধ আর তিস্তা ব্যারেজ খুলে দিল ভারত আবারো বাংলাদেশ কে ডুবিয়ে দিলো ভারত। বাংলাদেশের উত্তরাঞ্চলে বড় বন্যার আশঙ্কা করা হচ্ছে। বুধবার (৪ অক্টোবর) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। তিস্তার গজলডোবা ব্যারেজের সবকটি গেট খুলে রেকর্ড পরিমাণে পানি বাংলাদেশের দিকে ছেড়ে দিয়েছে ভারত।বিপদসীমার উপরে বইছে তিস্তার পানি। এরফলে দেশের পাঁচ জেলায় বন্যা হওয়ার আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলাগুলো হলো- নীলফামারী, লালমনিরহাট, রংপুর, কুড়িগ্রাম ও গাইবান্ধা।

বুধবার (৪ অক্টোবর) বিকাল ৩টায় দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প তিস্তা ব্যারাজের ডালিয়া পয়েন্টে পানিপ্রবাহের উচ্চতা রেকর্ড করা হয়েছে ৫২ মিটার ০৮ সেন্টিমিটার। অর্থাৎ বিপৎসীমার ৭ সেন্টিমিটার (বিপৎসীমা ৫২ মিটার ১৫ সেন্টিমিটার) নিচ দিয়ে পানি প্রবাহিত হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, তিস্তার পানি ডালিয়া পয়েন্টে সকাল থেকে দ্রুত বাড়ছে।

এই পয়েন্টে তিস্তার পানি বুধবার বিকেল নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাতে বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হতে পারে, যা বৃহস্পতিবার ভোর নাগাদ রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। প্রবল বৃষ্টি ও বন্যায় বিপর্যস্ত ভারতের সিকিম রাজ্য। রূদ্রমূর্তি ধারণ করেছে তিস্তা নদী। তীব্র স্রোতে নিখোঁজ কমপক্ষে ২৩ সেনা সদস্য।

অতিভারী বর্ষণে ভারতের উত্তরাঞ্চলীয় সিকিমে ভয়ংকর রূপ নিয়েছে তিস্তা। অতিরিক্ত পানির চাপে জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ড্যাম (বাঁধ) ভেঙে গিয়ে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। নিখোঁজ হয়েছেন ২৩ জন ভারতীয় সেনা সদস্য। এর ফলে জলপাইগুঁড়িতে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী সরদার উদয় রায়হান জানান, ভারতের কেন্দ্রীয় পানি কমিশনের কমিশনের তথ্যানুযায়ী, সিকিমে তিস্তা নদীর চুংথাংয়ের ড্যাম ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় উজানে নদীর পানির সমতল দ্রুত বেড়েছে। সর্বশেষ তথ্যানুযায়ী, গজলডোবা পয়েন্টে পানির সমতল গত মধ্যরাতে প্রায় ২৮৫ সেন্টিমিটার বেড়েছে এবং দোমুহনী পয়েন্টে সকালে প্রায় ৮২ সেন্টিমিটার বেড়েছে।

এই বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। এ ছাড়া বুধবার সকাল ৯টায় ডালিয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৮০ সেন্টিমিটার নিচে ছিল; যা বিকেল নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করে মধ্যরাত পর্যন্ত বিপৎসীমার ৫০ সেন্টিমিটার ওপর পর্যন্ত যেতে পারে। পাশাপাশি কাউনিয়া পয়েন্টের পানি বিপৎসীমার ৬০ সেন্টিমিটার নিচে ছিল।

যা বৃহস্পতিবার (৫ অক্টোবর) ভোর নাগাদ বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে লালমনিরহাট, নীলফামারী, রংপুর, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা জেলার তিস্তা নদী তীরবর্তী এলাকাগুলোতে প্লাবিত হয়ে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। ভারতীয় আবহাওয়া অফিসের তথ্যানুযায়ী, সিকিম অঞ্চলে আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় তিস্তার পানি বেড়ে বন্যা পরিস্থিতি অব্যাহত থাকতে পারে।

এদিকে সিকিমে প্রবল বৃষ্টিতে আকস্মিক বন্যায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২৩ সদস্য নিখোঁজ হয়েছেন। এ ছাড়া সেখানকার কিছু সামরিক স্থাপনাও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। নিখোঁজদের উদ্ধারে অভিযান চলছে বলে ভারতীয় গণমাধ্যমের খবরে জানানো হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password