কখনও শখ করে একটা ইলিশ মাছ কিনে খেতে পারবে না নিম্নআয়ের মানুষেরা। সব জিনিসের দাম বাড়ছে মানুষের ক্রয় ক্ষমতা বাড়ে নি কিন্তু দ্রব্যমূল্য অনেক বেড়েছে। ডিমের বাজারে আবারও নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে আবারো ডজনে দাম বেড়েছে অন্তত ২০ টাকা। মুরগির দামও উর্ধ্বমুখি। এবারও বিক্রেতাদের পুরানা অজুহাত, বলছেন, পোল্ট্রি ফিড ও পরিবহণ খরচ বেড়েছে।
এদিকে, ইলিশের যোগান বাড়ায়, দামে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে। তবে চাষের মাছে মোকামে অস্তিরতা এখনো পর্যন্ত কাটেনি। ক্রেতাদের দাবি বেড়েই চলছে, রুই-কাতল-পাঙ্গাসের দাম। পরিবহন খরচ এবং পোল্ট্রি ফিডের দাম বাড়ানোর অজুহাতে আগস্ট এর শুরুতে ডিমের দাম বাড়ে লাগামহীনভাবে। প্রতি ডজন ডিমের দাম গিয়ে ঠেকে ১৬০ টাকায়।
ডিম আমদানির ঘোষণার পাশাপাশি অভিযানের নামে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। দাম নেমে আসে ১২০ টাকায়। আবারো নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে ডিমের মোকামে সপ্তাহের ব্যবধানে ডজনে ১৫ থেকে ২০ টাকা বেড়ে বিক্রি হচ্ছে ১৪৫/১৫০ টাকায়। তবে মহল্লার দোকানে বিক্রি হচ্ছে ১৫০টাকা দরে। এই অবস্থায় অনেকেই ডিম কেনা কমিয়েছেন। ডিম না কিনেই খালি হাতে বাড়ি ফিরছেন অনেক ক্রেতা।
ক্রেতারা বলছেন,যার পয়সা আছে তার সমস্যা নেই, যার পয়সা নেই তারই সমস্যা কিনবে কি করে? ডিমের দাম বেশি হলে গরিবের সমস্যা খাইতে আর যার পয়সা আছে সেই খাইতে পারবে। মুরগির মাংসের দাম ও ঊর্ধ্বমুখী সপ্তাহের ব্যবধানে প্রতি কেজি বয়লার মুরগির দাম বেড়েছে অন্তত ১০ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সোনালি জাতের মুরগির কেজি ৩২০ টাকা। ব্যবসায়ীরা বলছেন, পোল্ট্রি ফিডের দাম বাড়ার প্রভাব পড়েছে বাজারে। সব জিনিসের দাম বাড়ছে সেই সাথে মুরগির দামও বাড়বে এটাই স্বাভাবিক।
বাজারে ১ কেজি গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে ৭০০ টাকায়, প্রতি কেজি খাসির মাংস জন্য গুনতে হবে ৯০০ টাকা। বেড়েছে ইলিশের সরবরাহ আকার ভেদে কেজিতে দাম কমেছে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা। তবে ক্রেতাদের দাবি এখনো সহনীয় মাত্রায় আসেনি দাম। নদী ও চাষের মাছের দাম বেশ চড়া।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন