নওগাঁর পোরশায় সংবাদ সম্মেলন করে জীবনের নিরাপত্তার আবেদন

নওগাঁর পোরশায় সংবাদ সম্মেলন করে  জীবনের নিরাপত্তার আবেদন
MostPlay

নওগাঁ জেলার পোরশা উপজেলায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন উপজেলার বাঁকইল মহিউস সুন্নাহ দাখিল মাদ্রাসার চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারী ও বাঁকইল গ্রামের মৃত আজিমুদ্দিন শাহ্ ছেলে আলী হোসেন বাবুল ও তার পরিবার।

আজ শুক্রবার (৫ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১০টায় উপজেলার সারাইগাছী বাজারের গণপুর মার্কেট মিলনায়তনে ভুক্তভোগী পরিবারের আয়োজনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন আলী হোসেন বাবুল। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ১৭বছর ধরে তিনি বাঁকইল দাখিল মাদ্রাসায় চাকুরী করে আসছেন। এতোদিন ধরে ঐ মাদ্রাসার সুপার কামাল হোসেনের সাথে তার ভাল সম্পর্ক ছিল। চলতি বছরের শুরুর দিকে এ মাদ্রাসায় আয়া ও নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ দেওয়া নিয়ে তার সাথে মাদ্রাসা সুপারের বিরোধ চলে আসছিল। আলী হোসেন বাবুলের অভিযোগ, অবৈধ টাকার বিনিময়ে সুপার গোপনে নিয়োগ দেওয়ার চেষ্টা করে। আর বিষয়টি তিনি জানতে পেরে এর প্রতিবাদ করলে সুপারের সাথে তার দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়।

আলী হোসেন বাবুল বলেন, এ ঘটনার রেশ ধরে গত ১৫ই সেপ্টম্বর সকাল ৯টায় তিনি মাদ্রাসায় যাওয়ার পথে সুপার কামাল হোসেনের ভাড়াকরা গুন্ডাবাহিনী দিয়ে তার উপর আক্রমন করে তাকে মেরে হাত পাঁ ভেঙ্গে দেয়। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করান। এ ঘটনায় তিনি ৪ই অক্টোবর মাদ্রাসা সুপারসহ ৯জনকে আসামী করে নওগাঁ আদালতে মামলা করেছেন। মামলার প্রেক্ষিতে থানা পুলিশ ৩জন আসামীকে আটক করে এবং পরে আদালতে হাজিরা দিতে গেয়ে অপর ৩আসামীকে আদালত আটক করে। দু’দিন পর আটক ৬জন আসামীর মধ্যে ৪আসামী জামিনে বের হয়ে আসে। জামিনে মুক্তি পাওয়া ৪জন আসামীসহ বাইরে থাকা আসামী মাদ্রাসা সুপার মামলার বাদী আলী হোসেন বাবুল ও তার পরিবারকে মামলা তুলে নিতে হুমকি-ধামকি দিচ্ছে। মামলা তুলে না নিলে তার বাড়ি-ঘর ভেঙ্গে ফেলবে এমনকি তাকেসহ তার পরিবারকে মেরে ফেলবে বলে হুমকি দিচ্ছে।

এ ঘটনার পর তিনি থানায় যান জিডি করতে কিন্তু থানা পুলিশ তার জিডি গ্রহন করেননি। সংবাদ সম্মেলনে আলী হোসেন বাবুল বলেন, আমি যখন হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম তখন আমার পরিবার আমার ছুটির জন্য মাদ্রাসা সুপারের নিকট গেলে তিনি ছুটি মঞ্জুর করেননি। উল্টো আমার বেতন আজ পর্যন্ত বন্ধ রেখেছেন। বেতন বন্ধ থাকায় আমি চরম অর্থ সংকটে ভুগছি। তিনি জানান, এখন তিনি তার ৩ছেলে, ১মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। বর্তমানে তিনি তার পরিবারকে নিয়ে নিজ বাড়িতে উঠতে পাচ্ছেন না। তিনি এখন তার আত্মীয়-স্বজনদের বাড়ি বাড়ি থাকছেন।

এ ব্যাপারে পোরশা থানার অফিসার ইনচার্জ সফিউল আজম খান জানান, আমার নিকট এরকম কেউ জিডি করতে আসেনি। আসলে তদন্ত করে অবশ্যই জিডি নেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে আলী হোসেন বাবুলের স্ত্রী রোকসানাসহ তার ৩ছেলে ও মেয়ে উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password