যৌথ জীবনের ৫৭ বছর

যৌথ জীবনের ৫৭ বছর

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ। কৈশোর আর তারুণ্যের দিনগুলো চঞ্চলতায় পার করা এ মানুষটিই যৌবনের শুরুতে হয়ে যান অত্যন্ত ধীরস্থির ও অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন। তার এই হঠাৎ বদলে যাওয়ার পেছনে নীরবে কাজ করেছেন স্ত্রী রাশিদা খানম।

কিশোরগঞ্জের হাওর উপজেলা মিঠামইনের কামালপুর গ্রাম থেকে উঠে আসা আবদুল হামিদের ধারাবাহিক সফলতার ক্ষেত্রে আড়াল থেকে প্রেরণা জুগিয়েছেন তার স্ত্রী। নিজের সফলতার পেছনে স্ত্রীর প্রেরণাকে বড় মনে করেন আবদুল হামিদও। স্ত্রী রাশিদা খানম হাওরের প্রবেশদ্বার করিমগঞ্জের জাফরাবাদ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত পরিবারের মেয়ে। সফল এই দম্পতির আজ ৫৭তম বিয়েবার্ষিকী।

কলেজে পড়ার সময় রাশিদা খানমের পরিচয় হয় গুরুদয়াল কলেজ ছাত্র সংসদের সে সময়ের জিএস আবদুল হামিদের সঙ্গে। পরিচয় থেকে প্রেম। তারপর বিয়ে। এইচএসসি পাস করার আগেই আবদুল হামিদের সঙ্গে পরিণয়সূত্রে আবদ্ধ হন তিনি। তবে তাদের বিয়েটা এত সহজ ছিল না। ১৯৬৪ সালের আজকের এই দিনে বিয়ের পিঁড়িতে বসেন আবদুল হামিদ ও রাশিদা খানম।

বিয়েবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ বলেন, রাজনীতি একটি ব্রত। এই ব্রত পালন করতে গিয়ে অনেক সময় সংসারবিবাগী হতে হয়েছে। তবে কখনও সংসার থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলাম না। একজন দায়িত্ববান স্ত্রী পেয়েছিলাম বলেই কারাগার-জীবনে কিংবা রাজনৈতিক জীবনে কখনও সংসার নিয়ে তেমন ভাবতে হয়নি। সবকিছু গুণবতী স্ত্রীই সামাল দিয়েছেন। জীবনে যা কিছু সাফল্য সবকিছুর পেছনে ছায়া হয়ে আছেন প্রিয়তমা স্ত্রী।

সফলতার পেছনে স্ত্রীর প্রেরণাকেই বড় মনে করেন রাষ্ট্রপতি.

পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, বঙ্গভবনে ছেলেমেয়ে, নাতি-নাতনি ও আত্মীয়-স্বজনদের নিয়ে অত্যন্ত সীমিত পরিসরে মোঃ আবদুল হামিদ ও রাশিদা খানমের বিয়েবার্ষিকী পালিত হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password