আগামী সপ্তাহ থেকেই নতুন নাম নিয়ে প্রচারণায় নামবে ফেসবুক। বিষয়টির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত একটি সূত্রের বরাত দিয়ে এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভার্জ। ভার্জের সূত্র ধরে রয়টার্স বলছে, ফেসবুকের সিইও মার্ক জাকারবার্গ আগামী ২৮ অক্টোবর প্রতিষ্ঠানের বার্ষিক সম্মেলনে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কথা বলবেন। গণমাধ্যমে নাম পরিবর্তনের খবরে বিস্ময় প্রকাশ করছেন বিশ্বজুড়ে সামাজিক মাধ্যমটির ব্যবহারকারীরা।
তবে এর মধ্যে সবেচেয়ে আলোচিত প্রশ্ন হলো, এত জনপ্রিয়তা সত্ত্বেও কেন নাম বদলাতে চায় ফেসবুক? ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রশ্নের জবাবে ফেসবুকের এক মুখপাত্র বলেন, উড়ো খবর নিয়ে কথা বলে না ফেসবুক। তবে উড়ো খবরটি একদম উড়িয়ে দেওয়ার সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য করেন তিনি। সম্প্রতি প্রতিষ্ঠানটির সাবেক এক কর্মকর্তা ফ্রান্সেস হাউগেন ফেসবুকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, ফেসবুক সবসময় মানুষের ভালোর চেয়ে টাকার কামানোর বিষয়কে গুরুত্ব দিয়েছে, শিশু-কিশোরদের ক্ষতি করছে জেনেও তারা ব্যবস্থা নেয়নি।
এছাড়া ফেসবুক বিভিন্ন সময় গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় বাধা দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন হাউগেন। এই ঘটনার পরপরই ফেসবুক বেশ কিছুক্ষণের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ওই সময় হাউগেন বলেছিলেন, পাঁচ ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বিভেদ তৈরিতে, গণতন্ত্রের বিনাশ এবং নারীদের তাদের শরীর সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরিতে ব্যবহার হয়নি ফেসবুক।
এমনসব দুর্নাম ওঠার পরপরই ফেসবুকের নাম পরিবর্তনের ঘোষণায় অনেকেই মনে করছেন ফেসবুক তাদের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নাম ঘোচাতেই নাম পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফেসবুকের নাম পরিবর্তন নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে দ্য ভার্জ বলেছে, ফেসবুক একটি মেটাভার্স প্রতিষ্ঠান হিসেবে পুনর্গঠিত হতে যাচ্ছে। আর প্রাতিষ্ঠানিক ধরন পরিবর্তনের কারণেই তারা নাম পরিবর্তন করছে বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন