বিয়ের নয়মাস যেতে না যেতেই স্ত্রীর পরকীয়া বলি হলেন রামগঞ্জের মাইক্রো চালক সাইফুল ইসলাম শামীম।
নিহত শামিম (২৬) উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের দক্ষিন আটিয়া বাড়ির হতদরিদ্র দেলোয়ার হোসেনের ছেলে।
ঘটনাটি ঘটেছে ২৫শে ডিসেম্বর শনিবার বিকেল সাড়ে চারটায় নিহত শামিমের শশুরালয় চাটখিল উপজেলার রামদেবপুর গ্রামের শেখের বাড়িতে।
চাঞ্চল্যকর শামীম হত্যার নেপথ্যে স্ত্রীর ঝুমুর আক্তার (১৯), তার বাবা জয়নাল আবেদীন (৫০), চাচা সুমন (৪৫), ভাই রাব্বি, রিফাত,মা রাশেদা বেগম (৪২),দাদী শাশুড়ী লাইলী বেগম (৬০) আসামী করে রোববার চাটখিল থানায় হত্যা মামলা করেন শামীমের বাবা দেলোয়ার হোসেন। মামলা নং- ৭০৪০(৩)/১ ধারা - ৩০২/ সহ মামলার বাদী জানান গত প্রায় ৮ মাস আগে পারিবারিকভাবে শামীম সাথে ঝুমুর বিয়ে হয়।
বিয়ের ৪মাস পরেই স্ত্রীর পরকিয়া জের নিয়ে তাহাদের পারিবারিকবাবে কলহের সৃষ্টি হয়।
সৃষ্ট ঘটনায় দুইপক্ষের লোকজন সমঝোতার উদ্দেশ্য ঝুমুরদের বাড়িতে সালিসি বৈঠক হয়। ঝুমুরদের স্বজনেরা সালিসি বৈঠকে শামীমকে মারধর করেন এবং ঝুমুরকে বাপের বাড়িতে আটকে রাখেন। শামীম ঝুমুরকে তাহাদের বাড়িতে নিতে ব্যর্থ হয়ে লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা করেন। মামলা বিচারাধীন থাকাবস্থা রোববার দুপুর দুইটা ঝুমুর পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্য শামীদের বাড়িতে আসবে তাকে দ্রুত শশুরালয় যেতে বলছে।
শামীম সেখানে গেলে সকল আসামীসহ ভাড়াটে দুর্বৃত্তরা তাকে হত্যা করে লাশ গুম করার চেষ্টা করেন। পরেই ব্যর্থ হয়ে বসত ঘরের পাশে শামীম মরদেহ পেলে আসামীরা পালিয়ে যায়। সংবাদ পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্বার করে জেলা মর্গে প্রেরণ করেন । চাটখিল থানার ওসি মোহাম্মদ আবুল খায়ের জানান শামীম হত্যা মামলা তদন্ত চলছে। আসামীদেরকে আটকেরও চেষ্টা চলছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন