গাজীপুরে প্রেমে বিরোধের জেরে প্রেমিক হাবিবুল বাশার জয়কে চলন্ত বাসের জানালা দিয়ে ফেলে হত্যার ঘটনায় এক আসামি আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আসামি তানহা জুবায়েরকে দুইদিনের রিমান্ড শেষে ১২ অক্টোবর গাজীপুর আদালতে হাজির করা হলে তিনি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। ১৩ অক্টোবর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে, তানহা জুবায়েরকে ঢাকার আশুলিয়া থানার বাড়ইপাড়া এলাকা থেকে গ্রেফতার করে পিবিআই।
পুলিশ পরিদর্শক এ কে এম রেজাউল করিম বলেন, মোছা. নিলুফা ইয়াসমিন ঝুমুর নামে এক নারীর সঙ্গে হাবিবুল বাশার জয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। কিন্তু নিলুফা ইয়াসমিন ঝুমুর মো. সজিব হোসেন নামে আরেক যুবকের প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ঝুমুর হাবিবুল বাশার জয়কে এড়িয়ে চলাসহ তার সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছিলেন। একপর্যায়ে সজিব তার সহযোগীদের নিয়ে হাবিবুল বাশার জয়কে মারধরের পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন গত বছরের ১১ সেপ্টেম্বর আসামি সজিব হোসেন ঠিকানা পরিবহনের একটি বাসে বাড়ইপাড়া বাসস্ট্যান্ড থেকে সহযোগীদের নেন।
বাসে উঠার পর আসামি সজিব ঝুমুরের সঙ্গে মোবাইলফোনে যোগাযোগ করেন। সজিবের কথামতো ঝুমুর কবিরপুর থেকে বাসে উঠলে ঝুমুরের পেছন পেছন হাবিবুল বাশার জয়ও ওই বাসে উঠেন। বাসে উঠার পর সজীব ও ঝুমুর বাসের মাঝামাঝি ডান পাশের সিটে পাশাপাশি বসেন এবং জয় বাম পাশে এক সিট সামনে বসেন। ঝুমুর সজিবের কাধে মাথা রাখলে জয় উত্তেজিত হয়ে পড়েন এবং সজিবের সঙ্গে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয়।
এসময় সজিবের সহযোগীরা জয়কে এলোপাতাড়িভাবে মারপিট করে বাসের জানালা দিয়ে ঢাকা টাঙ্গাইল মহাসড়কের কাশিমপুর থানাধীন তেতুঁইবাড়ী এলাকায় ফেলে দেন। পরে স্থানীয়রা হাবিবুল বাশার জয়কে অটোতে উঠিয়ে শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর মারা যান। এ ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে কাশিমপুর থানায় মামলা করেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন