মুন্সিগঞ্জে সিরাজদিখানে সংঘর্ষ, মধুপুর পীর ও ওসিসহ আহত ৩০

মুন্সিগঞ্জে সিরাজদিখানে সংঘর্ষ, মধুপুর পীর ও ওসিসহ আহত ৩০

মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সঙ্গে পুলিশ ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ হয়েছে। এতে মধুপুর পীর আব্দুল হামিদ ও অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম জালাল উদ্দিনসহ ৩০ জন আহত হয়েছেন।

রোববার (২৮ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে উপজেলার নিমতলা শিকারপুর এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহত মধুপুর পীর আবদুল হামিদ ও সিরাজিদখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম জালাল উদ্দিনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যদের সিরাজদিখান উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল থেকে সিরাজদিখানের নিমতলা এলাকায় ঢাকা-মাওয়া এক্সপ্রেসওয়েতে অবস্থান নেয়ার চেষ্টা করেন হেফাজত ইসলামের নেতাকর্মীরা। তবে পুলিশি বাধায় তারা এক্সপ্রেসওয়ের পাশে শিকারপুর রাস্তায় অবস্থান নেন। এ সময় হেফাজতের নেতাকর্মীদের প্রতিহত করতে অদূরে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে শিকারপুর এলাকায় মধুপুর পীর আব্দুল হামিদ উপস্থিত হন। তিনি শান্তিপূর্ণভাবে কর্মীদের অবস্থান নেয়ার আহ্বান জানিয়ে তাদের নিয়ে এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার চেষ্টা করেন। এতে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। একই সময় আওয়ামী লীগে নেতাকর্মীরা হেফাজত নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালান। এতে মধুপুর পীর গুলিবিদ্ধ ও সিরাজদিখান থানার ওসি জালাল উদ্দিন আহত হন। এছাড়া পুলিশের আরও ৯ সদস্যসহ ২৮ জন আহত হন।

মধুপুর পীর আব্দুল হামিদের ছেলে মাওলানা আহমদুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি সাংবাদিককে বলেন, ‘পীর সাহেবকে ঢাকায় নিয়ে যাচ্ছি। তার চোখের ওপর ও পায়ে গুলি লেগেছে। এছাড়া ২০ জন কর্মী আহত হয়েছে। আওয়ামী লীগ ও পুলিশ আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে বাধা দিলে সংঘর্ষের সূত্রপাত।’

সিরাজদিখান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি-তদন্ত) কামরুজ্জামান সাংবাদিককে  জানান, হেফাজতের কর্মীদের হামলায় ওসিসহ ১০ জন পুলিশ কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। ওসি এসএম জালাল উদ্দিনকে মুমূর্ষু অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password