১০০০ টাকা কাঁচা মরিচের কেজি

১০০০ টাকা কাঁচা মরিচের কেজি
MostPlay

কাঁচা মরিচের প্রতি কেজির খুচরা দাম হাঁকা হচ্ছে ১০০০ টাকা! শনিবার সকাল ১০টার দিকে নেত্রকোনা শহরের মোক্তারপাড়া জয়ের বাজারে কাঁচা মরিচের দাম শুনে অবাক হন এক ক্রেতা। তবে এক কেজি নিলে দাম ৯০০ টাকা বলে জানালেন দোকানি। অবশ্য কাঁচা মরিচ ছাড়া অন্য সব সবজির দাম খানিকটা সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে।

আজ শনিবার শহরের মেছুয়া বাজার, আখড়ার মোড়, জয়ের বাজার, সাতপাই লেভেল ক্রসিং বাজার ও আনন্দ বাজার ঘুরে দেখা গেছে, পাইকারি বাজারে কাঁচা মরিচ বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা দরে। আর দোকান থেকে এক কেজির কম নিলে প্রতি কেজি দাম পড়ছে ৯০০ থেকে ১০০০ টাকা।

খুচরায় ২৫০ গ্রাম কিনলে ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা ও আধা কেজি কিনলে বিক্রেতারা নিচ্ছেন ৪৫০ থেকে ৪৮০ টাকা। ১০০ গ্রাম নিলে দাম রাখছেন ১০০ টাকা। এতে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম পড়ছে ১০০০ টাকা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার ১০ উপজেলা ও পাঁচ পৌর সভাসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলের হাট-বাজারগুলোতে ৯৫০-১০০০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। অন্যান্য সবজিও বেশ চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে।

নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রামপুর এলাকার বাসিন্দা, তিনি বাস করেন শহরের কুড়পাড় এলাকায়। শনিবার সকালে শহরের জয়ের বাজারে সবজি কিনতে গিয়ে জানালেন, বিশ্বের আর কোনো দেশে বাজার এতো অস্তির নেই। বাজারে কোনো তদারকি নেই। যে যেভাবে পারে দাম রাখছে। সাধারণ ক্রেতাদের এখন ত্রাহী অবস্থা।

স্থানীয় প্রশাসন বাজার মনিটরিং করলে এই অবস্থা হতো না। শহরের মুক্তারপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাহান চৌধুরী বলেন, বাজারে কাঁচা মরিচ কিনতে গিয়ে অবাক হয়েছি। কাঁচা মরিচের দাম ১০০০ টাকা কেজি। কিভাবে একজন গরীব মানুষ সংসার চালাবে। যেখানে আমরা মধ্যবিত্তরাই হিমশিম খাচ্ছি।

সেখানে একজন নিন্ম আয়ের মানুষ কিভাবে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে খেয়ে পরে বেঁচে থাকবে। সরকারের তদারকি থাকলে এমন হতো না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেছেন, ১০ দিন আগেও প্রতি কেজি কাঁচা মরিচের দাম ছিল ১৮০ থেকে ২০০ টাকা। এখন তা ১০০০ টাকা পর্যন্ত উঠেছে। অর্থাৎ বেড়েছে প্রায় ৮০০ টাকা।

বিক্রেতারা বলছেন, ঈদ ও টানা বৃষ্টি এবং বন্যার কারণে জোগান কম হওয়ায় দাম বাড়ছে। বৃষ্টির কারণে মরিচের সরবরাহ কমে গেছে। ঈদের ছুটি থাকায় বাজারে কাঁচা মরিচ কম এসেছে। তাই দামও বেড়েছে।

তবে করলা বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে, পেঁপে ৩০-৪০ টাকা, ঢেরস ৫০-৬০ টাকা, কাঁকরোল ৬০ টাকা, বেগুন ৫০ টাকা এবং পোটল ৪০-৫০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। লেবু প্রতি হালি ৪০ টাকা এবং কাঁচা কলা প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

নেত্রকোনার জেলা প্রশাসক অঞ্জনা খান বলেন, যখন মোবাইল কোর্ট থাকে তখন বাজার কমে যায়। আবার বাজার থেকে চলে আসলেই দাম বেড়ে যায়। আমরা ঈদের আগের দিনও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি। আজও বাজার তদারকিতে পাঠানো হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password