করোনাভাইরাস আতঙ্কে ভূগছে সারা বিশ্ব। প্রতি মুহূর্তে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে মরণ এই ভাইরাসের শিকার হচ্ছেন কোনো না কোনো ব্যক্তি। বিশ্বজুড়ে ১,৪৫,০০০-এর বেশি মানুষ করোনায় আক্রান্ত। ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ৫ হাজার ছাড়িয়ে গিয়েছে।গত ডিসেম্বরে চীনেই এই ভাইরাসের উপস্থিতি প্রথম ধরা পড়ে। আর মরণ ভাইরাসের এপিসেন্টার হিসেবে প্রতিবেশী দেশকে রীতিমতো তুলোধনা করলেন পাকিস্তানের সাবেক স্পিডস্টার শোয়েব আখতার।
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে সম্প্রতি এক ভিডিওবার্তায় নোভেল করোনা ভাইরাসের কারণ হিসেবে চিনকে রীতিমতো কাঠগড়ায় তুলেছেন ‘রাওয়ালপিন্ডি এক্সপ্রেস’। চীনা নাগরিকদের প্রতি ক্ষোভের সুরে শোয়েব বলেছেন, ‘আমি বুঝতে পারি না মানুষকে কেন বাদুড়ের মতো প্রাণীর রক্ত খেতে হয়? এসব প্রাণীর রক্ত, মূত্র বিশ্বজুড়ে একাধিক ভাইরাসের জন্ম দেয়। চীনের মানুষরা পৃথিবীকে মৃত্যুপুরী বানিয়ে তুলেছে। আমি সত্যিই বুঝতে পারি না কীভাবে তোমরা ইদুর, বাদুড়, কুকুর, বিড়াল খেতে পার? আমি চীনের মানুষের উপর ভীষণ ক্ষুব্ধ।’
তবে চীনের মানুষের বিরুদ্ধে তিনি নন। বরং প্রাণীদের নিয়ে চীনের যে সকল আইন রয়েছে তিনি তার বিরুদ্ধে জানিয়েছেন শোয়েব। সাবেক স্পিডস্টারের কথায়, ‘আমি চীনের মানুষের বিপক্ষে নই কিন্তু প্রাণীদের নিয়ে তাদের যা আইন রয়েছে আমি তার ঘোর বিরোধী। হতে পারে এটা আপনাদের সংস্কৃতি কিন্তু এই সংস্কৃতির কারণে আজ বিপন্ন মানবজাতি। আমি চাইনিজ বয়কট করতে বলছি না কিন্তু অবশ্যই সঠিক আইন প্রণয়নের প্রয়োজন। আপনি চাইলেই সমস্ত জিনিস খেতে পারেন না।’
নোভেল করোনা ভাইরাসের দাপটে বিশ্বজুড়ে বন্ধ প্রায় সমস্ত স্পোর্টস ইভেন্ট। ভারতের মাটিতে পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেট লিগ আইপিএল। স্থগিত রাখা হয়েছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা ওয়ানডে সিরিজ। এমন সময় ফাঁকা গ্যালারিতে পাকিস্তানে চলছে পিএসএলের দ্বিতীয় সংস্করণ। যা নিয়েও বেজায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রয়া জানিয়েছেন শোয়েব আখতার।উল্লেখ্য, চীনের মধ্যাঞ্চলের হুবেই প্রদেশের রাজধানী শহর উহানের একটি সামুদ্রিক খাবার ও বন্যপ্রাণীর বাজার থেকে উৎপত্তি হওয়া এই ভাইরাসটি এখন ইউরোপ ও আমেরিকায় ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ছে। ভাইরাসটিতে চীনে আক্রান্ত ও মৃত মানুষের সংখ্যা কমতে থাকলেও এসব অঞ্চলে তা লাফিয়ে বাড়ছে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনাভাইরাসে গত পাঁচ দিনে দেড় সহস্রাধিক মানুষের মৃত্যু হয়েছে। যার বেশিরভাগের প্রাণহানি ঘটেছে ইতালিতে। দেশটির সরকার গোটা ইতালিতে অবরুদ্ধ করে রাখলেও প্রতিদিন নতুন করে সেখান থেকে শত শত মানুষের মৃত্যুর খবর পাওয়া যাচ্ছে।চীনে করোনায় আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা কমছেই। গতকাল শুক্রবার নতুন করে দেশটিতে ১১ জন ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়েছেন। এছাড়া মৃত্যু হয়েছে ১৩ জনের। মোটে দেশটিতে করোনা আক্রান্তের ঘটনা ৮০ হাজার ৮২৪টি। মৃত্যু হয়েছে ৩ হাজার ১৮৯ জনের। এছাড়া ৬৫ হাজার ৫৪৭ জন সুস্থ হয়েছেন।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন