খাল ময়লার ভাগাড়

খাল ময়লার ভাগাড়
MostPlay

৩৯টি খালের বেশিরভাগের দুই পাড় দখল জনসচেতনতাকেই গুরুত্ব দিচ্ছেন বিশ্লেষকরা তদারকি, লোকবলের সঙ্কট ও জবাবদিহিতা না থাকার মূল কারণ : এলজিআরডি মন্ত্রী কো-অর্ডিনেশন দরকার : ডিএনসিসি মেয়

ভরাট, দখল আর দূষণে প্রায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে রাজধানীর খালগুলো। যতটুকু বেঁচে আছে তাও পরিণত হয়েছে ময়লার ভাগাড়ে। সরকারের ব্যবস্থাপনার ভুলে খালগুলো ১০০ ফুট প্রস্থ থেকে এখন ১০ থেকে ২০ ফুটের সরু ড্রেনে পরিণত হয়েছে। তবে এ ১০ ফুটের খাল সরেজমিনে দেখে বুঝার উপায় নেই যে এগুলো খাল। মনে হবে ময়লার ভাগাড়। উত্তরা, গুলশান, বনানী, ধানমন্ডির খাল বাদে বেশিরভাগের চিত্র একই। গৃহস্থালির বর্জ্য, ফেলে দেয়া আসবাবপত্র, বালিশ, কাঁথা, পলিথিন, কর্কসিট, ভাঙারির দোকান থেকে ফেলে দেয়া বিপুল পরিমাণ বর্জ্যরে ঠিকানা খালে। যদিও এসব থাকার কথা সিটি করপোরেশনের ময়লার ভাগাড়ে। যেখানে খালের পাশে হাঁটলে শোনা যাওয়ার কথা পানি প্রবাহের কল কল শব্দ। সেখানে কান পাতলে শোনা যায় খালগুলোর নীরব কান্না। খাল-ড্রেন আবর্জনায় ভরাট হওয়ার কারণে প্রতি বর্ষা মৌসুমে সামান্য বৃষ্টি হলেই পানিবদ্ধতা সৃষ্টি হয় রাজধানীতে।

৩২ বছর খালের দায়িত্ব ওয়াসার হাতে থাকলেও হয়নি কোনো দৃশ্যমান উন্নয়ন। হয়েছে দখল, ৬০ ফুট থেকে ১০ ফুটে নেমে এসেছে খালের প্রস্থ। অবৈধ দখলদার ও সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান যে যার মতো করে খাল দখল করে স্থাপনা তৈরি করেছে। চলতি বছরের শুরুতে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) ও ঢাকা দক্ষিণ করপোরেশনের (ডিএসসিসি) হাতে তুলে দেয়া হয়েছে ২৬টি খালের দায়িত্ব। এতে নগরবাসী আশার নতুন এক আলো দেখতে পাচ্ছে। তবে মাঠে নেমে খালের করুণদশা দেখে অসহায়ত্বের কথা বলছেন মন্ত্রী ও মেয়ররা।

 

এ বিষয়ে নগর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু খালের দায়িত্ব সিটি করপোরেশনকে দিলে হবে না। সেই সাথে জনবল, অর্থ ও ক্ষমতা দিতে হবে সরকারকে। সিটির অনেক খাল এখনো জেলা প্রশাসকের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, সেগুলোও সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।

এদিকে ঢাকার বুকে অবশিষ্ট থাকা ৩৯টির মধ্যে আওতাভুক্ত ২৬টি খাল উদ্ধারে দুই সিটি সক্রিয় হলেও এসব খালের পাড়ের বাসিন্দাদের মধ্যে এ বিষয়ে সচেতনতা নেই। পরিষ্কার করে খালগুলো স্বাভাবিক অবস্থায় ফেরানোর চেষ্টায় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বর্জ্য-আবর্জনা। বর্ষাকালে পানি চলাচলে বাধা পেয়ে সৃষ্ট জলাবদ্ধতায় সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলোর মানুষরা ভোগান্তি পোহালেও তাদেরই ফেলা ময়লা-আবর্জনার আঘাত থামছে না খালগুলোর বুকে। এছাড়া খালের পাড়ে বসবাসকারীদের অনেকেই বেশিরভাগই সিটি করপোরেশনকে ময়লা দেন না। তারা দৈনন্দিন গৃহস্থালির ময়লা ফেলছেন খালে। ঘরের অব্যবহৃত আসবাবপত্রের শেষ ঠিকানাও হয়ে উঠেছে খাল। বাসাবাড়ি পরিবর্তনের সময় ঘরের পরিত্যক্ত জিনিসপত্রও মানুষজন খালেই ফেলছেন। নগর কর্তৃপক্ষ বলছে, জনগণের সচেতনতার অভাবে এমনটা ঘটে চলেছে।

এ অবস্থায় সিটি কর্তৃপক্ষের সক্রিয়তার পাশাপাশি নাগরিকদের সচেতনতা না থাকলে খাল উদ্ধার কাগজে কলমে সীমাবদ্ধ থাকবে বলেই নগর বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। খাল উদ্ধারে দুই সিটির উদ্যোগ আলোর মুখ দেখবে না বলেও তাদের আশঙ্কা। ঢাকায় প্রতিবছর বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধতার কারণ হিসেবে বেদখলের কারণে খালগুলোতে পানি নিষ্কাশন বন্ধ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ অনেকদিনের। আর খাল দখলে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে অভিযোগও উঠে বিভিন্ন সময়ে। মাঝেমধ্যে উচ্ছেদ অভিযান চালানো হলেও কয়েকদিন পর আবার দখলদাররা ফিরে আসে।

ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত এলাকার কাঁটাসুর, ইব্রাহিমপুর, কল্যাণপুর, আবদুল্লাহপুর, দিয়াবাড়ি, বাউনিয়া, কসাইবাড়ি, সুতিভোলা, ডুমনি, বোয়ালিয়া, শাহজাদপুর, রায়েরবাজার, হাজারীবাগ, বাইশটেকি, জিরানী, মান্ডা, শ্যামপুর, শাহজাহানপুর, গোবিন্দপুর খাল রয়েছে। খালগুলো ঘুরে সরেজমিনে দেখা গেছে, খালগুলো বেশিরভাগের দুই পাড় দখল হয়ে গেছে। ৬০ থেকে ১০০ ফুটের খাল ১০ থেকে ২০ ফুট সরু হয়ে গেছে। বর্জ্য-আবর্জনায় ভরাট হয়ে পড়ায় পানির প্রবাহ নেই বললেই চলে। বেশিরভাগ স্থানে খালের ভেতর পানি আছে কি না তা আবর্জনার কারণে দেখা যায় না। শীত মৌসুমে নাগরিকদের ভোগান্তি না থাকলেও পানি চলাচল বাধা পেয়ে বর্ষার বৃষ্টি কিছুটা দীর্ঘ হলেই খালের পানি চলে আসে সড়কে।

বাংলাদেশ ইনস্টিউট অব প্লানার্স (বিআইপি) এর সভাপতি এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগের অধ্যাপক আকতার মাহমুদের করা একাধিক জরিপে রাজধানীর খালের সংখ্যা দেখেছেন বিভিন্ন রকম। তিনি বলেন, আমি আমার একাধিক জরিপে রাজধানীতে খালের সংখ্যা একেক রকম পেয়েছি। কখনও ৫২টি, কখনও ৪৬টি আবার কখনও ৪২টি। দীর্ঘ ৩২ বছর পর ওয়াসার কাছ থেকে খালের দায়িত্ব ঢাকা সিটি করপোরেশনকে দেয়া হয়েছে। তবে শুধু দায়িত্ব দিলেই হবে বলে আমি মনে করি না। এর সঙ্গে অর্থ, জনবল ও কারিগরি সহায়তার প্রয়োজন রয়েছে। আরেকটি বড় বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক সদিচ্ছা নিয়ে কাজ করা।

অধ্যাপক আকতার মাহমুদের মতো স্থপতি ইকবাল হাবিবও মনে করেন সিটি করপোরেশনকে সহায়তা করার বাধ্যবাধকতা। সঠিক পরিকল্পনা ও জনসচেতনতায় বিনিয়োগেরও প্রয়োজনীয়তা দেখছেন এ বিশেষজ্ঞ। তিনি বলেন, বাস্তবায়ন করা। কে করবে? কখন করবে? কিভাবে করবে? এটা চিন্তা না করে স্বপ্ন দেখার কোনো যৌক্তিকতা নেই। সিটি করপোরেশনকে শুধু নৈতিক সমর্থন না দিয়ে অর্থ, কারিগরি সহায়তাও দিতে হবে। বর্জ্য ব্যবস্থাপনাকে সম্পৃক্ত করতে হবে। পরিকল্পনামাফিক যেতে হবে। জনসচেতনতায় বিনিয়োগ করতে হবে। রান অফ ওয়াটার বেড়েছে ৭০-৭২ শতাংশ। আশির দশকের পরিকল্পনা দিয়ে এগিয়ে গেলে কখনোই জলাবদ্ধতা নিরসন সম্ভব হবে না। তাই পরিকল্পনাকে ঢেলে সাজাতে হবে। খালগুলোকে নেটওয়ার্ক করতে হবে। নৌ চলাচল বাস্তবায়ন করতে হবে।

এদিকে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হয়েছে ১৮টি ওয়ার্ড। ডিএনসিসি এলাকার আগের আয়তন ছিল ৮২ দশমিক ৬৩৮ বর্গকিলোমিটার। এর সঙ্গে নতুন ওয়ার্ডগুলো যুক্ত হওয়ায় উত্তর সিটির মোট আয়তন দাঁড়িয়েছে ১৯৬ দশমিক ২২৮ বর্গকিলোমিটারে। তবে এই ওয়ার্ডগুলোর খালের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের। তাই সমন্বয়ে ঘাটতি দেখছেন রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নগর পরিকল্পনাবিদ ও ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যানের (ড্যাপ) প্রজেক্ট ডিরেক্টর আশরাফুল ইসলাম। তিনি বলেন, উত্তর সিটিতে যুক্ত নতুন ১৮টি ওয়ার্ডের দায়িত্ব জেলা প্রশাসকের। সেগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করলে সমন্বয়ে সুবিধা হবে। তাহলে আমরা ভেনিস দেখতে না পেলেও কাছাকাছি কিছু পাব।

গত শনিবার রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে এক নগর সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তৃাতায় স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় (এলজিআরডি) মন্ত্রী এবং রাজধানীর ডিটেইল্ড এরিয়া প্ল্যান (ড্যাপ) প্রণয়ন সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির আহ্বায়ক মো. তাজুল ইসলাম বলেন, আমাদের খাল অনেকগুলো দখল হয়ে গেছে। খালগুলো অবৈধ দখলদাররা দখল করেছে এবং সরকারও দখল করেছে। সরকার আইন করে খাল দখল করেছে। তাই সেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব না। কিন্তু যেগুলো উদ্ধার করা সম্ভব, আমরা সেগুলো উদ্ধার করার চেষ্টা করছি। রাজধানীতে এ সমস্যার পেছনে অপরিকল্পিত ভবন নির্মাণকে দায়ী করেছেন মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, শতকরা ৯৬ ভাগ ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে আইন মেনে করা হয়নি। অবৈধ ভবন নির্মাণের পেছনে মানুষের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারাও জড়িত। তাদের দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করছে না। দায়িত্ব যতটুকু তার চেয়ে দ্বিগুণ দায়িত্ব দিলে কাজের অনিয়ম হতে পারে। এছাড়া ভবন নির্মাণে তদারকি, লোকবলের সঙ্কট ও জবাবদিহিতা না থাকাও এসব ভবন নির্মাণ হওয়ার অন্যতম কারণ।

ঢাকা ওয়াসার কাছ থেকে ড্রেনেজ ব্যবস্থাপনা ও খালের দায়িত্ব দুই সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এখন রাজধানীতে যেসকল লেক আছে- সেগুলো সিটি করপোরেশনের কাছে হস্তান্তরের দাবি আসছে উল্লেখ করে সংশ্লিষ্ট সকল পক্ষের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানান মন্ত্রী।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ডিএনসিসি মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, বেশিরভাগ খাল দখল হয়ে আছে। ম্যাপে আছে ৬০ ফুট, সরেজমিনে গিয়ে মেপে দেখি তা ১০ ফুট। এগুলো উদ্ধারে কাজ করছি। তিনি তার বৃহৎ পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের ইঙ্গিত দিয়ে বলেন, খালের পাশ দিয়ে মানুষ হেঁটে বেড়াবে এটি আমি চাই। সাইকেলের লেন হবে, গাছ লাগানো হবে। খালের পানি কিভাবে দুর্গন্ধমুক্ত করতে পারি এটি সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। খালকে পুনরায় ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করতে চায় না সিটি করপোরেশন। এক্ষেত্রে আইন প্রয়োগের দিকে যেতে চায় উত্তর সিটি।

এ ব্যাপারে সমাধানের জন্য জনগণের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে নিয়ে কাজ করার গুরুত্বারোপ করেন স্থানীয় কাউন্সিলররা। ডিএনসিসির ১১ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর দেওয়ান আবদুল মান্নান বলেন, দেখেন কোন উচ্ছেদ অভিযান বা উন্নয়ন কর্মকান্ডে রাজউক বা ওয়াসা কাজ করতে আসলে সমস্যার সম্মুখীন হয়। কারণ, তারা জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত নয়। অন্যদিকে মেয়র কোন কর্মকান্ডে যুক্ত হলে সে কাজ তুলনামূলক সহজেই করতে পারেন। স্থানীয় কাউন্সিলরদের মাধ্যমে যেকোনো কাজ পরিচালনা করলে তা সুফল জনগণ পাবে। কারণ তাতে জনগণের সম্পৃক্ততা থাকবে।

এমতাবস্থায় রাজধানীর খালগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে জনসচেতনতাকেই অগ্রাধিকার দিচ্ছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। যতবড় মাস্টারপ্লানই করা হোক না কেন, জনগণ যদি সচেতন না হয়, দিনশেষে কোনো লাভ হবে না বলেও পরামর্শ তাদের। এছাড়া স্থানীয় সচেতন নাগরিকরা মনে করেন কঠোর ও কার্যকর আইন প্রয়োগের মাধ্যমে মিলতে পারে মুক্তি। থামতে পারে খালের কান্না।

শ্যামপুরে ডিএসসিসির উচ্ছেদ অভিযান
এদিকে গতকাল ডিএসসিসির আওতাধীন শ্যামপুর খালের বউবাজার সংলগ্ন এলাকায় উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে সংস্থাটির ভ্রাম্যমাণ আদালত। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ ও তানজিলা কবির ত্রপার নেতৃত্বে এ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানকালে খাল ভরাট করে অবৈধভাবে খালের জায়গায় বহুতল ভবন এবং কিছু একতলা দোকান ও বসতঘর তৈরি করায় তা উচ্ছেদ করা হয়েছে। প্রায় ৫ ঘণ্টাব্যাপী পরিচালিত এ উচ্ছেদ অভিযানে খালের সীমানার মধ্যে অবৈধভাবে নির্মিত একটি পাঁচতলা ভবনের দুই-তৃতীয়াংশ ভেঙে ফেলা হয়। এ সময় আনুমানিক বিশটি একতলা বসতঘর ও দোকান ভেঙে ফেলা হয়।

অভিযানকালে দেখা যায়, খালের মুখে প্রশস্ততা ১০০ ফুট থাকার কথা থাকলেও বাস্তবে সেখানে ৮ ফুট সরু খালের অবয়ব দেখা যায়। এভাবে খালের বিভিন্ন অংশ বিভিন্নভাবে দখল করে সেখানে জলপ্রবাহ বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে এবং দখল-দূষণে খালটিকে মৃতপ্রায় বানিয়ে ফেলা হয়েছে।

এ উচ্ছেদ অভিযান প্রসঙ্গে ডিএসসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমডোর মো. বদরুল আমিন বলেন, অবৈধ দখলদাররা খাল দখল করে পুরো খালকে একটি সরু নালায় পরিণত করেছিল। খালটি সামনে ও পেছনে বুড়িগঙ্গা ও শীতলক্ষ্যার সাথে সংযুক্ত ছিল। আমরা সেই সংযোগ ফিরিয়ে আনার কাজ শুরু করেছি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password