অভিমানে প্রেমিকার আত্মহত্যা

অভিমানে প্রেমিকার আত্মহত্যা
MostPlay

বিয়ের দাবিতে দুদিন আগে প্রেমিকের বাড়িতে উঠেছিলেন তরুণী। পরে সমাজপতিদের মধ্যস্থতায় উভয় পরিবার মিলে তাদের বিয়ের দিন নির্ধারণ করে। কিন্তু প্রেমিক সুমন মিয়া প্রেমিকা ফুলু আক্তারকে  বিয়ে করতে অসম্মতি জানান। এতে অভিমান করে আত্মহত্যার পথ বেছে নেন ওই তরুণী। বুধবার দুপুরে মানিকগঞ্জের হরিরামপুর উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের বাল্লা গ্রামে নিজ বাড়ি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ। মৃত ফুলু আক্তার ওই গ্রামের দিনমজুর ইজান নবীর মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বাল্লা ইউনিয়নের ঝিটকা নতুন পাড়া এলাকার মোঃ কালামের ছেলে ট্রাকচালক সুমন মিয়ার সঙ্গে চার বছর আগে বিয়ে ঠিক হয় ফুলু আক্তারের। বিয়েটি ভেঙে যায়। কিন্তু মাস ছয়েক আগে সুমনের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক হয় ফুলুর। এরপর আবারও বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে যায় মেয়ের পরিবার। কিন্তু বিয়ের কথা কিছুটা এগোলেও ছেলের পরিবার তাতে অসম্মতি জানান। তবে গোপনে ফুলু আর সুমনের প্রেম চলতে থাকে। সেই সম্পর্কের কারণে ২৬ এপ্রিল সকালে ফুলু সুমনদের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন। বিয়ের দাবিতে তিনি সন্ধ্যা পর্যন্ত ওই বাড়িতে অবস্থান করেন। পরে স্থানীয় সমাজপতিদের মধ্যস্থতায় দুই পরিবার মিলে বৃহস্পতিবার (২৯ এপ্রিল) তাদের বিয়ের দিন ধার্য করে। ফুলু ফিরে আসে নিজের বাড়িতে। কিন্তু পরদিনই প্রেমিক সুমন তাকে বিয়ে করতে অসম্মতি জানান।

নিহতের মা মঞ্জু বেগম জানান, বুধবার সকাল ৮টায় ফুলু ও তার ছোট ভাইকে বাসায় রেখে বাবা, মা ও এক ভাই কাজে বের হন। ছোট ভাই বাইরে গেলে ফুলু ঘরের আড়ায় ওড়না পেঁচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। ছোট ভাই বাড়ি ফিরে এই দৃশ্য দেখার পর চিৎকার দেয়। তার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা এগিয়ে আসে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ওই তরুণীর মরদেহ উদ্ধার। হরিরামপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুঈদ চৌধুরী বলেন, মেয়েটি গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password