কঠোর বিধিনিষেদের চলমান লকডাউনেও হঠাৎ করে রোববার (১ আগস্ট) কলকারখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এই খবরে কর্মস্থলে ফিরতে মরিয়া হয়ে পড়েছে দেশের সর্ব স্থরের লোকজনসহ নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার শ্রমিকরা। এক্ষেত্রে সামজিক দূরত্ব রক্ষা করা দূরের কথা ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরার ট্রলারে নদী পার হচ্ছেন।
আজ শনিবার (৩১ জুলাই) সকাল থেকেই হাতিয়ার নলচিরা ঘাটে শ্রমজীবী মানুষের ভিড় দেখা যায়। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের ভিড় বাড়তে থাকে।১ আকরাম হোসেন নামে এক শ্রমিক ঢাকা পোস্টকে বলেন, জীবিকার প্রয়োজনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কর্মস্থলে যাচ্ছি। সরকার ঘোষিত ১৪ দিনের কঠোর লকডাউন চলছে। এর মধ্যে ঘোষণা এলো রোববার থেকে কলকারখানা খোলা। এখন কাজে যোগ না দিলে চাকরি থাকবে না। তাই বাধ্য হয়ে মাছ ধরার ট্রলারে যাচ্ছি।
আমির হোসেন নামে আরেক শ্রমিক গনমাধ্যমকে বলেন, ঝুঁকি নিয়ে মাছ ধরার ট্রলারে যাচ্ছি। আগের ভাড়া থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিচ্ছে। না গেলে চাকুরী থাকবেনা। আগে স্পিডবোটে ৪০০ টাকা দিয়ে যেতাম। এখন এক হাজার টাকা নিচ্ছে।
হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ারুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী হাতিয়ায় সকল গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। বিভিন্ন স্থানে পুলিশের চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সকাল থেকে পোশাক কারখানার শ্রমিকরা নলচিরা ঘাট দিয়ে তাদের গন্তব্যে যাচ্ছে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন