মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথ সংস্কারে ১০ দফা মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ

মহেশখালী-কক্সবাজার নৌপথ সংস্কারে ১০ দফা মেনে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ

স্পীডবোট ভাড়া জনপ্রতি ৯০ টাকা ও কাঠের বোট জনপ্রতি ৩০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করার ঘোষণা দিয়েছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন এবং সেটি আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর করে ঘাটে পোস্টার টাঙিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান।

এছাড়াও অন্যান্য দাবিগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা। কক্সবাজার-মহেশখালী নৌরুটে ছাত্রজনতার ১০ দফা দাবি আদায়ে ৩ ঘন্টা সড়ক অবরোধের ঘোষণা দিয়েছে, যা শেষ পর্যন্ত প্রশাসনের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাসে সমাপ্ত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (২০ আগস্ট) সকাল ১০টা থেকে মহেশখালী উপজেলা থেকে একটি বিশাল মিছিল নিয়ে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং সাধারণ জনগণ অংশ নেয়। তারা বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে দিতে কক্সবাজার সড়কের গুণগাছতলা স্থানে অবস্থান নেয় এবং রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। এসময় কক্সবাজার বৈষ্যম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সহ অন্যান্য ছাত্ররাও দাবির সাথে একাত্নতা পোষণ করে আন্দোলনে অংশ নেয়।

দশ দফা দাবির মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল স্পিডবোট ভাড়া জনপ্রতি ৯০ টাকা, কাঠের বোট বা গামবোটের ভাড়া জনপ্রতি ৩০ টাকা করা এছাড়াও গণপরিবহন চালু, লাইফ জ্যাকেট, নিরাপত্তার জন্য পর্যাপ্ত নৌযান,ব্রেস্টফিডিং চালু সহ টিকিট কাউন্টারের দাবি উল্লেখ করেন। দুপুর দেড়টার দিকে কক্সবাজার জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এবং অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রোবাইয়া আফরোজ, আরডিসি মনজুর আলম, সহকারি কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নওশের ইবনে হালিম ছাত্রজনতার প্রতিনিধির সাথে কথা হয়৷

তারা ছাত্রজনতার ১০ দফার মধ্য থেকে তাৎক্ষণিক স্পীডবোট ভাড়া ৯০ টাকা ও কাঠের বোট জনপ্রতি ৩০ টাকা ভাড়া নির্ধারণ করেন। নির্ধারিত ভাড়া আগামীকাল বুধবার থেকে কার্যকর করে ঘাটে পোস্টার টাঙিয়ে দেওয়া হবে বলে জানান জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা । এছাড়াও ছাত্র-জনতার ১০ দফার অন্যান্য দাবিগুলো ধীরে ধীরে বাস্তবায়নের ঘোষণা দেন।

কক্সবাজার শহরের গুনগাছলার প্রধান সড়কের তিন মুখ সকাল ১১ টা – দুপুর ২ টা অবরোধের ফলে সড়কে কিছু সময়ের জন্য যাত্রী ও পণ্য পরিবহন স্থবির হয়ে পড়ে। তবে কোন ধরনের বিশৃঙ্খলা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে এ আন্দোলন শেষ হয়। আলোচনায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে দাবিগুলো মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে দ্রুততার সঙ্গে পদক্ষেপ গ্রহণের কথা বলা হয়।

তাদের আশ্বাসের পর ছাত্রজনতা অবরোধ তুলে নেয় এবং পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। এই আন্দোলনের ফলে প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করা সম্ভব হয়েছে এবং আশা করা হচ্ছে যে, দ্রুতই নৌরুটের বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করা হবে। আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক রাকিব হোসাইন জানান, প্রশাসন আমাদের ১০ টা দাবির কয়েকটি মেনে নেওয়ায় আমরা আন্দোলন থেকে সরে গিয়েছি। তবে বাকি দফাগুলো আগামী কয়েকদিনে বাস্তবায়ন না করে তাহলে আবারও ছাত্র-জনতা মাঠে নামবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password