চুয়াডাঙ্গায় স্বামীকে স্যালাইনের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যাচেষ্টা

চুয়াডাঙ্গায় স্বামীকে স্যালাইনের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যাচেষ্টা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা সড়াবাড়িয়াতে স্ত্রী কাকলী খাতুন (২৪) পরকীয়ায় লিপ্ত হয়ে স্বামী মাসুদকে স্যালাইনের সঙ্গে বিষ মিশিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। স্বামী মাসুদ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের বিছানায় কাতরাচ্ছে। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।এ ঘটনায় দর্শনা থানায় মামলা দায়ের হলে স্ত্রী কাকলীকে গ্রেফতার করে শনিবার চুয়াডাঙ্গা জেলা ম্যজিস্ট্রেটের কাছে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে।

স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের কাদের মণ্ডলের ছেলে মাসুদকে ঘুমের ওষুধ এবং আলুগাছে দেওয়া কীটনাশক বিষ স্যালাইনের সাথে মিশিয়ে খেতে দেয় স্ত্রী কাকলী খাতুন। বিষ মেশানো স্যালাইন খাওয়ার কিছুক্ষণ পর মাসুদের শরীরে বিষক্রিয়া শুরু হলে তাকে পরিবারের অন্যরা দ্রুত চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে মাসুদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।

জানা গেছে, জীবননগর উপজেলার হরিয়াননগর গ্রামের আ. কুদ্দুসের মেয়ে কাকলীর (২৪) সঙ্গে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার পারকৃষ্ণপুর মদনা ইউনিয়নের সড়াবাড়িয়া গ্রামের কাদির মণ্ডলের ছেলে মাসুদের ১০ মাস আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর কাকলী পরকীয়ায় লিপ্ত হয় একই গ্রামের ওসমান মোল্লার ছেলে মোংলা ওরফে মুকুলের সঙ্গে। পরকীয়ায় পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় স্বামী মাসুদ। পথের কাঁটা সরাতে স্বামী মাসুদকে শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে ঘুমের ওষুধ এবং আলুগাছে দেওয়া কীটনাশক বিষ স্যালাইনের সঙ্গে মিশিয়ে খেতে দেয় স্ত্রী কাকলী খাতুন। 

এ ঘটনায় মাসুদের মা মমতাজ বেগম দর্শনা থানায় বাদী হয়ে ছেলের স্ত্রী কাকলী খাতুন ও মোংলা ওরফে মুকুলের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ কাকলীকে গ্রেফতার করে। শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কাকলীকে চুয়াডাঙ্গা আদালতের সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেট মানিক দাসের কাছে নেওয়া হয়। আদালতের ম্যাজিস্ট্রেটের কাছে কাকলী ঘটনার স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিলে তা রেকর্ড করা করেছে।এ ব্যাপারে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ মাহাবব্বুর রহমান কাজল জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। কাকলীকে আটক করে স্বীকারোক্তিমূলক ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়েছে। মুকুলকে ধরতে অভিযান চলছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password