ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হত্যাচেষ্টায় রবিউলকে ১০ বছরের কারাদণ্ড

ইউএনও ওয়াহিদা খানমকে হত্যাচেষ্টায় রবিউলকে ১০ বছরের কারাদণ্ড

দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াহিদা খানম ও তার বাবাকে হত্যাচেষ্টা মামলায় আসামি রবিউল ইসলামকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। সেই সঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ মঙ্গলবার সকালে দিনাজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-৩-এর বিচারক সাদিয়া সুলতানা এই রায় প্রদান করেন।

দিনাজপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রবিউল ইসলাম মামলার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন। আদালত সূত্রে জানা গেছে, প্রথম থেকেই দিনাজপুরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটির কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। মামলায় মোট ৫৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়। তবে পরে মামলাটি দিনাজপুরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-৩ আদালতে হস্তান্তর করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২ সেপ্টেম্বর রাতে উপজেলা পরিষদের মালি রবিউল ইসলাম (৩৫) তৎকালীন ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমের সরকারি বাসভবনে প্রবেশ করে হাতুড়ি দিয়ে তাকে মাথায় আঘাত করেন। এ সময় বাধা দিতে গেলে ইউএনওর বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী শেখকে গুরুতর আহত করে পালিয়ে যান তিনি। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদেরকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ ও পরে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে ঢাকার জাতীয় নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে নেওয়া হয়।

এ ঘটনায় ৩ সেপ্টেম্বর ওয়াহিদা খানমের ভাই পুলিশ পরিদর্শক শেখ ফরিদ বাদী হয়ে ঘোড়াঘাট থানায় একটি মামলা করেন। পরে মামলাটি ডিবির কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশ তদন্ত করে ১১ সেপ্টেম্বর দিনাজপুর জেলার বিরল উপজেলার ভীমপুর গ্রামের মৃত খতিব উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলামকে নিজ বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। এরপর ২০ সেপ্টেম্বর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন রবিউল। তার স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ওই বছরের ২১ নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দেন তৎকালীন ডিবির ওসি ইমাম জাফর।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password