মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ে দেশবাসী স্বস্তি পেয়েছেন। আইনি প্রক্রিয়া শেষে দ্রুতই এই রায় কার্যকর হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-২ আসনের ধানের শীষ প্রার্থী আমানউল্লাহ আমান। আজ মঙ্গলবার (১৮ নভেম্বর, ২০২৫) দুপুরে কেরানীগঞ্জ উপজেলার কলাতিয়া ইউনিয়নের কলাতিয়া ডিগ্রি কলেজে নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আমানউল্লাহ আমান বলেন, ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনার বিচার দেখার অপেক্ষায় ছিল বাংলার জনগণ। হাসিনার ফাঁসির রায়ে জনগণের প্রত্যাশা পূরণ হয়েছে। দেশবাসী স্বস্তি পেয়েছে। আমরা আশা করি, আইনি প্রক্রিয়া শেষে খুব দ্রুতই এই রায় কার্যকর করা হবে। তিনি এই রায়কে 'হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে হত্যাকারী অবৈধ প্রধানমন্ত্রীর' সর্বোচ্চ শাস্তি আখ্যা দিয়ে দ্রুত রায় কার্যকরের দাবি জানিয়েছেন। বিএনপি'র এই নেতা শেখ হাসিনাকে আরও একাধিক গণহত্যার জন্য অভিযুক্ত করেন।
তিনি বলেন, "ফ্যাসিস্ট খুনি হাসিনা ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে, হেফাজতের মিছিলে গুলি করে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে।" তিনি ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলম, সুমনসহ হাজার হাজার ছাত্র-জনতাকে গুম করার অভিযোগ এনে বলেন, এই সব গুম-খুনের বিচারও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে শুরু হয়েছে। তিনি আরও বলেন, "এসব বিচারে হাসিনার কতবার যে ফাঁসি হবে, তা বলে শেষ করা যাবে না।" আমান উল্লাহ আমান বলেন, সব কাজেরই পরিণতি আছে, 'যে যেমন কাজ করবে সে তেমন ফল পাবে।'
তিনি দেশের রাজনৈতিক ফয়সালার ইতিহাস তুলে স্মরণ করিয়ে দেন, ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬২ এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৯ এ গণ-অভ্যুত্থান, ৭১ এ মুক্তিযুদ্ধ, ৯০ এ গণ-অভ্যুত্থান হয়েছিল এবং সর্বশেষ ২৪ এ গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।" তিনি জোর দিয়ে বলেন, "প্রত্যেকটি গণ-অভ্যুত্থান রাজপথেই ফয়সালা হয়েছে। বিএনপি'র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উক্তি উদ্ধৃত করে আমান বলেন, "তারেক রহমান বলেছিলেন, দেশ যাবে কোন পথে, ফয়সালা হবে রাজপথে। রাজপথেই কিন্তু ফয়সালা হয়েছে।"
কলেজ ছাত্রদলের আহ্বায়ক ছামিউল হকের সভাপতিত্বে এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সরকার ও প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, কলেজের অধ্যক্ষ মো. লিয়াকত আলী, গভর্নিং বডির সভাপতি মোহাম্মদ আলী অভি, কলাতিয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি এনামুল হক চান মিয়াসহ স্থানীয় বিএনপির নেতারা।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন