নওগাঁর ধামইরহাটে গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামি স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর গ্রেপ্তার

নওগাঁর ধামইরহাটে গৃহবধূ হত্যা মামলার আসামি স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর গ্রেপ্তার

নওগাঁর ধামইরহাটে গৃহবধূ মহসিনা খাতুন আয়না হত্যা মামলার আসামি স্বামী, শাশুড়ি ও দেবরকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব সদস্যরা। মঙ্গলবার ভোরে রাজধানী ঢাকার আদাবর থানার সুনিবিড় হাউজিং এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- ধামইরহাট উপজেলার বিহারীনগর গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে ও নিহতের স্বামী নুরুল আমিন ওরফে এরশাদ, নিহতের দেবর শাকিল হোসেন এবং শাশুড়ি আমেনা বেগম। তারা মহসিনা খাতুন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় আসামি। রোববার বিকেলে র‌্যাব-৫ জয়পুরহাট ক্যাম্প থেকে পাঠানো এক সংবাত বিজ্ঞপ্তিতে এ খবর জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ১২ মার্চ ভোরে বিহারীনগর গ্রামের নুরুল আমিন ওরফে এরশাদের স্ত্রী মহসিনা খাতুন ওরফে আয়নাকে বাড়ির পূর্ব পাশে একটি আম গাছে ফাঁস দেয়া অবস্থায় দেখতে পায় পরিবারের সদস্যরা। খবর পেয়ে থানা পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। মহসিনা খাতুনের বাবার বাড়ির লোকজন অভিযোগ করেন, এটা হত্যাকাণ্ড। কারণ বাবার বাড়ি থেকে যৌতুকের টাকা, সোফা সেট, আলমারি, খাট ইত্যাদি আনার জন্য মহসিনার স্বামী, শাশুড়ি ও দেবর চাপ দিয়ে আসছিলেন।

এ নিয়ে মহসিনার সঙ্গে তাদের বিরোধ লেগেই থাকতো। এই বিরোধের জের ধরে তাকে মারধর করে শ্বাসরোধে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। পরবর্তীতে মহসিনার চাচা আব্দুল হামিদ ধামইরহাট থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলায় ভাতিজি আয়নাকে শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে মূল পরিকল্পনাকারী শাশুড়ি আমেনা, স্বামী এরশাদ ও দেবর শাকিলকে মূল পরিকল্পনাকারী উল্লেখ করে তারাসহ আমেনার মেয়ে জামাতা বিদ্যুৎকে আসামি করা হয়।

এদিকে মামলা হওয়ার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যান। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৫ ও সিপিসি-৩ জয়পুরহাট ক্যাম্পের সদস্যরা ধামইরহাট উপজেলার গোপিরামপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে আসামী বিদ্যুৎকে গ্রেপ্তার করেন। পরবর্তীতে র‌্যাব-২, সিপিসি-১ এর সহায়তায় আমেনা, এরশাদ ও শাকিলকে মঙ্গলবার সকালে ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদেকে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password