কাঁচা কচুর ভর্তা কি ভাবে করবেন

কাঁচা কচুর ভর্তা কি ভাবে করবেন

কচুতে আছে আয়রন, যা রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। রক্ত চলাচল স্বাভাবিক করে। যাঁদের রক্তশূন্যতা আছে, তাঁরা নিয়মিত কচু খেলে উপকার পাবেন। কচু খেলে রক্তের কোলেস্টেরল কমে, তাই উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের জন্য ওল কচুর রস বেশ উপকারী। নিয়মিত কচু খেলে কোলন ক্যানসার ও স্তন ক্যানসারের ঝুঁকি কমে।

জ্বরের সময় রোগীকে দুধকচু রান্না করে খাওয়ালে জ্বর দ্রুত ভালো হয়ে যায়। কচুতে থাকা প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী। এ ছাড়া কচুতে রয়েছে আয়রন, ক্যালসিয়াম, ফাইবার, ফোলেট ও থায়ামিনসহ নানান পুষ্টি উপাদান। তবে অনেকেই মনে করেন কচু খাওয়া বেশ ঝামেলার কাজ, তাই পছন্দের তালিকায় থাকা শর্তেও কচুকে এড়িয়ে চলেন অনেকেই।

অথচ কচুর এমন একটি রেসিপি প্রচলিত আছে, যা সম্পর্কে আপনি একবার জানলে বারবারই তা খেতে চাইবেন এবং তৈরি করবেন। এই রেসিপিতে না আছে রান্না করার ঝামেলা, না আছে গলা ধরার ভয়। ভাবুন তো, কাঁচা কচু খাবেন অথচ গলা ধরবে না, দারুণ না বিষয়টা।

চলুন তাহলে জেনে নিন এই সহজ রেসিপিটি- যা যা লাগবে কচু ছোট ১টি (ছোট টুকরো করা) রসুন মাঝারি ১টি পেঁয়াজ কুঁচি মাঝারি ১টি নারকেল কুঁচি আধা কাপ ধনিয়া পাতা পরিমাণমতো সরিষার তেল ২ টেবিল চামচ কাঁচামরিচ ৩-৪টি সরিষা বাটা – ৪চা চামচ (না দিলেও হবে) লবণ স্বাদমত যেভাবে তৈরি করবেন প্রথমে চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে মাঝারি আঁচে পেঁয়াজ কুচি, আস্ত রসুন, কাঁচামরিচ ভালোভাবে টেলে নিতে হবে।

এরপর পানি কচু একটি গ্রেটার দিয়ে গ্রেট করে নিন অথবা ব্লেন্ডারে পেস্ট করে নিতে হবে। এবার টেলে নেওয়া উপকরণগুলোর সঙ্গে লবণ এবং ধনিয়া পাতা, গ্রেট করা কচু, সরিষা বাটা (না দিলেও চলবে) দিয়ে মিহি করে বেটে নিতে হবে। মিহি বাটা হয়ে গেলে বেশ খানিকটা সরিষার তেল দিয়ে ভালোভাবে মাখিয়ে নিলেই তৈরি হয়ে যাবে পানিকচুর ভর্তা। গরম ধোঁয়া ওঠা ভাতের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন পানিকচুর ভর্তা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password