ভোলায় প্রস্তুত ৭৪৬ আশ্রয়কেন্দ্র

ভোলায় প্রস্তুত ৭৪৬ আশ্রয়কেন্দ্র

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে ভোলায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। সকাল থেকেই জেলা জুড়ে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উপকূলীয় জেলা ভোলাকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোকাবেলায় আজ রবিবার (২৩ অক্টোবর) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক সম্মেলনকক্ষে জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সভায় জেলার সকল দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সভায় জেলা প্রশাসক মো. তৌফিক-ই-লাহী চৌধুরী জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। সকল সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মস্থলে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে জেলার ৭৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র ও এক হাজার ৩০৬টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

জেলার সাত উপজেলায় খোলা হয়েছে আটটি কন্ট্রোল রুম। ১৩ হাজার ৬০০ জন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি (সিপিপি) স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রয়েছে। জেলার ৭০টি ইউনিয়ন ও সাতটি উপজেলায় একটি করে মেডিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে এবং জেলার বিচ্ছিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ চরাঞ্চলের বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে আনার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে সভা থেকে জানানো হয়েছে।

দুর্যোগকালীন আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নেওয়া মানুষের জন্য শুকনা খাবারের প্যাকেট প্রস্তুত করা হচ্ছে। ভোলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. হাসানুজ্জামান জানান, ভোলার মেঘনা-তেঁতুলিয়া নদীর পানি স্বাভাবিক রয়েছে। ভোলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের ৩০০ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ রয়েছে।

এগুলোর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো ইতিমধ্যে মেরামত করা হয়েছে। তার পরও কর্মকর্তাদের বিভিন্ন পয়েন্টে পাঠানো হয়েছে। যাতে ঘূর্ণিঝড়ে কোনো বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সঙ্গে সঙ্গে তা মেরামত করা যায়। বাংলাদেশ অভ্যান্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডাব্লিউটিএ) ভোলা নদীবন্দরের উপপরিচালক মো. শহীদুল ইসলাম জানান, ভোলার নদীবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর সকর্তসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। তবে ভোলার সব রুটে নৌযান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা পেলে নৌযান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হবে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password