আলোচিত চিত্রনায়িকা পরীমনি কাণ্ডে এবার নাম জড়ালো পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তার। তার নাম গোলাম সাকলায়েন শিথিল।
তিনি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ-ডিবি’র গুলশান বিভাগের এডিসি হিসেবে কর্মরত। সম্প্রতি ঢাকার অদূরে তুরাগতীরে বহুল আলোচিত বোট ক্লাব মামলার তদন্ত তদারক কর্মকর্তা ছিলেন সাকলায়েন। ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত চলার সময় নায়িকা পরীমনির সাথে সখ্য গড়ে ওঠে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
র্যাবের হাতে পরীমনি গ্রেফতারের পর গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এ কর্মকর্তার সাথে তার ঘনিষ্ঠতার বিষয়টি উঠে এলো আলোচনায়।তাদের অন্তরঙ্গ সম্পর্ক নিয়ে চলছে নানা গুঞ্জন।
পরীমণির গাড়ি চালক নাজির হোসেন গণমাধ্যমের কাছে ঘটনার বর্ণনা দিয়েছেন। এরই মধ্যে পরীমনি- সাকলায়েনকে নিয়ে একটি সিসিটিভি ফুটেজ ফাঁস হয়েছে। সেখানে দেখা যায়, রাজাবাগ পুলিশ অফিসার্স কলোনির মধুমতি ভবনের গেটের সামনে ১ আগস্ট সকাল ৮ টা ১৫ মিনিটে একটি সাদা গাড়ি এসে থামে।
এদিকে বিপুল পরিমাণ মাদকদ্রব্যসহ রাজধানীর বনানীর বাসা থেকে গ্রেফতার ঢাকাই সিনেমার আলোচিত ও রহস্যময়ী নায়িকা পরীমনি চার দিনের রিমান্ডে রয়েছেন। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। জিজ্ঞাসাবাদে পরীমনির কাছ থেকে বেশকিছু ব্যাপক চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্ত সংশ্লিষ্টরা।
পরীমনি চলচ্চিত্রের আড়ালে খারাপ ব্যবসা করতেন এবং এই ব্যবসাগুলোতে কারা তাকে পেট্রোনাইজ করেছেন, তাদের কথাও তিনি জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন বলে শুক্রবার দুপুর ২টার দিকে ডিএমপির ডিবি কার্যালয়ের সামনে ডিবির যুগ্ম কমিশনার হারুন অর রশিদ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন।
এ ছাড়া গ্রেফতার অপর আসামি চলচ্চিত্র প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ অন্ধকার পথে কিছু তথাকথিত মডেলদের নিয়ে বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন মানুষকে মনোরঞ্জন করাতেন বলেও জানান যুগ্ম কমিশনার হারুন। এদিকে তদন্তের সুযোগে চিত্রনায়িকা পরীমণির সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সখ্যতার কাণ্ড ফাঁস হওয়ায় গোয়েন্দা বিভাগের কর্মকর্তা গোলাম সাকলাইনকে ডিবি থেকে প্রত্যাহার করেছে ডিএমপি। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু হয়েছে ইতোমধ্যেই। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানায় ডিএমপি ও ডিবির কর্মকর্তারা।
আর পরীমণির মামলার তদন্তভার এখন সিআইডির কাছে।সুর্নিদিষ্ট অভিযোগে গেল বৃহস্পতিবার রাতে বিপুল পরিমাণ মদসহ বনানীর বাসা থেকে গ্রেফতারের পর আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য প্রকাশ হওয়ার পর তোলপাড় শুরু হয় পুলিশ প্রশাসনে। গেলো ১৩ জুন উত্তরা বোর্ড ক্লাবের সাবেক সভাপতি নাছিরউদ্দিন মাহমুদকে জড়িয়ে সংবাদ সম্মেলন করে নতুন বিতর্কের জন্ম দেয় ঢাকাইয়া চলচ্চিত্রের বিতর্কিত নায়িকা পরিমণি।
এমনকি হত্যা ও ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে নাছিরের বিরুদ্ধে সাভার থানায় মামলা করেন তিনি। এসব মামলা ডিবিতে ন্যস্ত হলে তদন্ত পায় ডিএমপির গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত যুগ্ম কমিশনার (এডিসি) গোলাম সাকলাইন।সম্প্রতি নানা কারণে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারিতে আসে বেশ কয়েকজন মডেল ও চলচ্চিত্র নায়িকা।
অভিযোগ উঠে অভিনয়ের আড়ালে নিজস্ব বাসা বাড়িতে গড়ে তোলে মাদকের সম্রাজ্য।পরে সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে গেল বুধবার পরিমণীর বনানীর বাসায় অভিযান চালায় রেব। বিপুল পরিমাণ মদসহ গ্রেফতার হয় তাকে। দায়ের করা হয় মামলা।
জিজ্ঞাসাবাদে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান বিভাগের এডিসি গোলাম সাইকলাইনের সঙ্গে সখ্যতা ও অবাধে চলাফেরার তথ্য ফাঁস করে বিতর্কিত নায়িকা পরিমণী। এর পর থেকে নড়েচড়ে বসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী। ডিবি থেকে প্রত্যাহার করা হয় সাকলাইনকে।অপরাধের সঙ্গে জড়িত কাউকে ছাড় দেয়া হবে না বলেও হুশিয়ারী দেন সিআইডি’র এই কর্মকর্তা।পরিমনী ছাড়াও আরো অনেকেই নজরদারিতে আছে বলে জানায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন