ধামইরহাটে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তোলা হয়েছে মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার

ধামইরহাটে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে গড়ে তোলা হয়েছে মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার

নওগাঁর সীমান্তবর্তী ধামইরহাট উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকায় জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে বই পড়াকে আকৃষ্ট করে তুলতে আগ্রাদিগুন ইউনিয়নে গড়ে তোলা হয়েছে আধুনিক সুযোগ সুবিধা সংবলিত ‘মজিবুর রহমান স্মৃতি গ্রন্থাগার’। প্রতিদিন পাঠাগারে আসছেন নানা বয়সী মানুষ ও তরুণ শিক্ষার্থীরা।

ইতোমধ্যে পাঠাগারটি এলাকায় বেশ সাড়া ফেলেছে। এ ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। বর্তমানে প্রতি সপ্তাহে মুক্তিযুদ্ধ, পরিবেশ ও শিশু কিশোরদের শিক্ষণীয় চলচ্চিত্র ও ডকুমেন্টারি দেখানো হচ্ছে। বিভিন্ন বিষয়ের ওপর প্রায় চার হাজার বই রয়েছে এখান। প্রতি মাসেই যুক্ত হচ্ছে নতুন বই। এ ছাড়া মাসিক ১০০ টাকা থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত প্রদান করে ‘লাইব্রেরি বন্ধু’ নামে কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। যাতে এ লাইব্রেরির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে সঙ্গে বইপ্রেমীরা সংযুক্ত হতে পারেন।

এ ছাড়া শুরু করা হয়েছে অনলাইন কবিতা, গল্প লেখা ও বই রিভিউ প্রতিযোগিতা। করোনাকালে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের পড়শোনা সচল রাখতে বিভিন্ন গ্রামে বাড়িতে বাড়িতে বই পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নিজ উদ্যোগে পাঠাগারটি তৈরি করেছেন স্বপ্নবান কর্মবীর আলমগীর কবির। যিনি বাপার কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং গ্রিন ভয়েস বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতাও।

এ পাঠাগার সম্পর্কে প্রতিষ্ঠাতা আলমগীর কবির বলেন, বর্তমান সময়ে আধুনিক সভ্যতার এ কালে সবাই কেমন বই পড়া থেকে অনেক পিছিয়ে যাচ্ছি। আমি মনে করি জ্ঞানভিত্তিক বা সমাজব্যবস্থা একজন মানুষকে মানবিক হিসেবে মানুষ তৈরি করার ক্ষেত্রে পাঠাগারের বিকল্প নেই। আমাদের সমাজে ছেলেমেয়েরা পাঠ্যবইয়ের বাইরে খুব কমই জ্ঞান রাখে। ফলে যদি জ্ঞানভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বই পড়ার কোনো বিকল্প নেই।

আলোকিত সমাজ গড়তে প্রয়োজন আলোকিত মানুষ। আর আলোকিত সৎ মানুষ গড়তে পয়োজন ভালো বই। কারণ ভালো বই মানুষের বোধ ও চেতনাকে বিকোশিত করে। এ চিন্তা থেকেই নিজ এলাকার ছেলেমেয়েদের মাঝে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে দিতে নিয়েছি বই পড়ার এ উদ্যোগ।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password