জাবি শিক্ষার্থীরা দুই দফায় তালা ভেঙে হলে ঢুকল

জাবি শিক্ষার্থীরা দুই দফায় তালা ভেঙে হলে ঢুকল

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার দুপুর ২টার দিকে মেয়েদের ৮টি ও ছেলেদের ৮টি হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন তারা।

তবে তালা নিয়ে টম-জেরি খেলায় মেতেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। শিক্ষার্থীরা তালা ভাঙার পরে প্রশাসন আবারও নতুন তালা সেঁটে দেয় হলের মূল গেটে। পরে বিকাল ৪টার দিকে আবারও হলের সেই তালা ভেঙে ভেতরে অবস্থান করেন শিক্ষার্থীরা।

অন্যদিকে করোনার সময় সরকারি নির্দেশনা না আসা পর্যন্ত হলে অবস্থান করার সুযোগ নেই বলে সাফ জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। শিক্ষার্থীরা হলে ঢুকার পরে বেলা আড়াইটার দিকে জাবির জনসংযোগ কার্যালয় থেকে কর্তৃপক্ষের একটি বিবৃতি গণমাধ্যমকে প্রেরণ করা হয়।

সেখানে শিক্ষার্থীদের হলে না থাকার জন্য পুনরায় নির্দেশ দেওয়া হয়। একইসঙ্গে শিক্ষার্থীদের এমন আচরণকে সিন্ডিকেট ও সরকারি নির্দেশনার অমান্য বলেও উল্লেখ করা হয়।

এদিকে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাদী হয়ে মামলা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় হল খোলা ও শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার বিচার ও আহতদের চিকিৎসা ব্যয় বহনসহ কয়েকটি দাবিতে জাবির শহিদ মিনারে বিক্ষোভ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে সেখান থেকে বিক্ষোভটি ভিসির বাসার সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। 

এ সময় শিক্ষার্থীরা দুপুর ২টার মধ্যে হল খোলার আলটিমেটাম দিয়ে অবস্থান কর্মসূচি চালিয়ে যান। পরে দেড়টার দিকে সেখান থেকে শিক্ষার্থীরা একটি বিশাল মিছিল নিয়ে প্রথমে মেয়েদের আটটি হল ও পরে একে একে ছেলেদের আটটি হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন।

এর কিছুক্ষণ পরই হল প্রশাসন আবার নতুন তালা ঝুলিয়ে দেয়। পরে শিক্ষার্থীরা আবারও তালা ভেঙে কয়েকটি হলের ভেতরে অবস্থান করেন।

সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান সাংবাদিক কে  বলেন, সরকারি নিয়মে সারা দেশের অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ও চলবে। জাবির জন্য আলাদা নিয়ম হতে পারে না। 

হলে অবস্থানের বিষয়ে তিনি বলেন, এটি শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের বিষয়। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একা সিদ্ধান্ত দেয়ার এখতিয়ার রাখে না। এছাড়া শিক্ষামন্ত্রী ও ইউজিসির সঙ্গে উপাচার্যের বৈঠক হওয়ার কথা আছে। সেখানেও এ বিষয়টা নিয়ে আলোচনা করা হবে।

এছাড়া শুক্রবার শিক্ষার্থীদের ওপর স্থানীয়দের হামলার ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় বাদী হয়ে মামলা করার জন্য সিন্ডিকেটে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। প্রসঙ্গত, এক সপ্তাহ আগের একটি ক্রিকেট টুর্নামেন্ট খেলায় বাকবিতণ্ডার জের ধরে স্থানীয়দের সঙ্গে বিরোধ চলছিল জাবির কয়েকজন শিক্ষার্থীর। এ ঘটনার রেশ ধরে শুক্রবার সন্ধ্যায় স্থানীয়রা জাবি শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা করে।

পরে উভয়পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে ব্যাপক সংঘর্ষ বাধে। স্থানীয়দের হামলায় জাবির অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। এর মধ্যে জাবির ১১ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়ে সাভারের এনাম মেডিকেলে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password