আওয়ামী লীগ কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অনেক কঠোর

আওয়ামী লীগ কাদের মির্জার বিরুদ্ধে অনেক কঠোর

আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে তোপ দাগানোর পর হরতাল-সংঘর্ষে জড়িয়ে দলের বিরাগভাজন হয়েছেন নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা। শেষ পর্যন্ত তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছে আওয়ামী লীগ। তাঁকে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক দুই দিক থেকেই চাপে ফেলা হবে।

একই সঙ্গে বসুরহাটে কর্মসূচির নামে জনজীবনে অশান্তি সৃষ্টি করলে কাদের মির্জা ও তাঁর অনুসারী নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোর হবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আর ক্ষুব্ধ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা কাদের মির্জা সংযত না হলে তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক শাস্তির কথা ভাবছেন। আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের পাঁচ নেতা সাংবাদিকে এমনটাই জানিয়েছেন।

আওয়ামী লীগের একটি সূত্র জানায়, কাদের মির্জার কর্মকাণ্ডের বিষয়ে দলটির কার্যনির্বাহী সংসদের সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। শিগগিরই এ সভা আহ্বান করা হচ্ছে।

গতকাল কাদের মির্জার মিছিলে পুলিশ লাঠিপেটা করেছে। এতে তাঁর অনুসারী অন্তত ১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে গঠনতন্ত্র পরিপন্থী কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে কাদের মির্জাকে বসুরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করার জন্য আওয়ামী লীগ সভাপতি ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়। তবে রাতে সুপারিশ প্রত্যাহারের কথা জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি। আর এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি ওই কমিটির সাধারণ সম্পাদক।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় পাঁচ নেতা সাংবাদিকে বলেছেন, কাদের মির্জা অনেক দিন ধরেই হরতাল, সভা-সমাবেশ, সংবাদ সম্মেলন করে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদের বিরুদ্ধে বিষোদগার করায় দলের কেন্দ্রীয় নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের অনেকেই ক্ষুব্ধ ও বিব্রত।

টানা এক মাসেরও বেশি সময় ধরে নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী ও ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারীর সঙ্গে কাদের মির্জার বিরোধ ও প্রকাশ্যে কাদা-ছোড়াছুড়ি চলছে। এই বিবাদ ক্রমেই সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের তাঁর ছোট ভাই কাদের মির্জাকে কঠোরভাবে সতর্ক করে দিলেও তাতে বিরোধ মেটেনি।

জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড. আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিক বলেন, ‘যা ঘটছে এটা অপ্রত্যাশিত ও অগ্রহণযোগ্য। কাদের মির্জা বিভ্রান্ত হয়ে বিপথে পরিচালিত হচ্ছেন। যেসব কথা বলছেন, তাতে দলের ক্ষতি হচ্ছে। আমি মানুষের বাকস্বাধীনতায় পুরোপুরি বিশ্বাসী। কিন্তু রাজনীতি বা দল করতে গেলে দলীয় শৃঙ্খলা মানতে হয়। আমাদের কারো কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে তা দলের অভ্যন্তরে আলোচনা করতে হবে।

রাজনীতিবিদদের অনেক কিছুর সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে হয়। সব সময় সব কিছু বলা যায় না। উপযুক্ত সময়ের অপেক্ষা করতে হয়। আওয়ামী লীগ একটি মাল্টিক্লাস পার্টি। এখানে নানা ধরনের মানুষ আছে। এ বাস্তবতা মানতে হবে। দল করলে দলের সিদ্ধান্ত মেনে চলতে হবে।’

দলের সভাপতিমণ্ডলীর আরেক সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান সাংবাদিকে বলেন, ‘কেন গোলমালটা হচ্ছে তা আমার জানা নেই। যদি রাজনৈতিক কারণে হয়ে থাকে, তবে তা দেখার জন্য চট্টগ্রাম বিভাগে আমাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা রয়েছেন। নিশ্চয়ই তাঁরা বিষয়টি দেখছেন। আর যদি আধিপত্য বিস্তারের জন্য হয়ে থাকে, আইন-শৃঙ্খলা অবনতির মতো কোনো ঘটনা ঘটে, তবে তা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী দেখবে। আমার মনে হয়, তারা এরই মধ্যে বিষয়টি দেখছে।’

সাবেক মন্ত্রী ফারুক খান আরো বলেন, ‘যা ঘটছে তা আমাদের দলের জন্য ভালো হচ্ছে না। আমার মনে হয়, এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম সাংবাদিকে বলেন, ‘দল করলে দলের সিদ্ধান্ত, শৃঙ্খলা মানতে হবে। দলের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কথা বলার ঢালাও অধিকার কাউকে দেওয়া হয়নি। রাস্তাঘাটে যেখানে-সেখানে কাদের মির্জা দলের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছেন, সে অধিকার তাঁকে কে দিয়েছে? আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা কেউই এটাকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না।’

এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি চট্টগ্রাম বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন।

তবে ক্ষমতাসীন দলটির কেন্দ্রীয় এক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে সাংবাদিকে বলেন, কাদের মির্জা সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করছেন, এতে কোনো সন্দেহ নেই। কিন্তু নোয়াখালী ও ফেনীর প্রভাবশালী একাধিক নেতার বিরুদ্ধে তিনি যে অভিযোগগুলো তুলছেন, সেগুলো মিথ্যা নয়। সে জন্যই কাদের মির্জার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে দোটানায় আছে দল।

গতকাল দ্বিতীয় দফা হরতাল ডেকে বসুরহাট থানার সামনে অবস্থান কর্মসূচির ঘোষণা দিলেও পুলিশ কাদের মির্জা ও তাঁর সমর্থকদের লাঠিপেটা করে হটিয়ে দেয়। কাদের মির্জা নোয়াখালীর জেলা প্রশাসক খোরশেদ আলম খান, পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন, কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি জাহিদুল হক রনি, পরিদর্শক (তদন্ত) রবিউল হককে প্রত্যাহার, নোয়াখালীর সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল. চরকাঁকড়া আওয়ামী লীগ নেতা ফখরুল ইসলাম সবুজকে দল থেকে বহিষ্কারের দাবিতে হরতাল কর্মসূচি দেন।

সকাল সাড়ে ৭টার দিকে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা হরতালের সমর্থনে বসুরহাটে মিছিল বের করেন। মিছিলটি বসুরহাট রূপালী চত্বর থেকে থানার দিকে যায়। এ সময় থানার সামনে অবস্থানকারী পুলিশ সদস্যদের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয় কাদের মির্জার। এক পর্যায়ে তিনি মিছিল নিয়ে অগ্রসর হলে পেছন থেকে পুলিশ ধাওয়া দেয় এবং লাঠিপেটা করে। এ সময় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে ছড়িয়ে গেলেও কাদের মির্জা সড়কের ওপর প্রায় আধাঘণ্টা বসে থাকেন। পরে তাঁকে সেখান থেকে আওয়ামী লীগ ও পরিবারের লোকজন পৌরসভা কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

পুলিশের লাঠিপেটায় আহত কাদের মির্জার অনুসারীরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম ছারওয়ার, বসুরহাট পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রাজীব, মাসুদ, পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা আরজু প্রমুখ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এ ছাড়া উদ্ভূত পরিস্থিতিতে কোম্পানীগঞ্জে র‌্যাব, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) সদস্য ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সকালে কাদের মির্জার নেতৃত্বে তাঁর অনুসারীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে থানার দিকে হামলা করতে আসেন। এ সময় থানার সামনে অবস্থানকারী জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে কাদের মির্জা অশালীন উক্তি ও মারমুখী আচরণ করেন। এক পর্যায়ে তিনি তাঁর সমর্থকদের নিয়ে থানার ভেতরে ঢুকে পড়তে চাইলে পুলিশ ধাওয়া করে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।

মিছিলে পুলিশের লাঠিপেটার পর আব্দুল কাদের মির্জা বসুরহাট পৌরসভার রূপালী চত্বরে সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি অভিযোগ করেন, আগের দিন শুক্রবার উপজেলার চাপরাশিরহাটে তাঁর সমর্থকদের ওপর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যন মিজানুর রহমান বাদলের নেতৃত্বে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে অন্তত ২০ জনকে আহত করে।

এর মধ্যে সাতজন গুলিবিদ্ধ হয়। তিনি এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ তুলে নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, ফেনীর সংসদ সদস্য নিজাম হাজারী ও মিজানুর রহমান বাদলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।

কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল পেশকার হাট রাস্তার মাথায় দুপুর ১টায় সংবাদ সম্মেলন করেন। সেখানে লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এবং কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার ও অশালীন বক্তব্য দিয়ে সাংগঠনিক শৃঙ্খলা ভঙ্গের দায়ে আব্দুল কাদের মির্জাকে দল থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার দাবি জানাচ্ছি।’ তিনি আরো বলেন, ‘আব্দুল কাদের মির্জাকে অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে উন্নত মানের মানসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেওয়া হোক।’

বহিষ্কারের সুপারিশ করে পরে প্রত্যাহার

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য আব্দুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দিয়ে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের কাছে সুপারিশ পাঠানো হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানায় নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগ।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘কয়েক সপ্তাহ ধরে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ও বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা দলীয় নেতাকর্মীদের ওপর সন্ত্রাসী লেলিয়ে দিয়ে গুরুতর আহত করেছেন। তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃবৃন্দ ও নোয়াখালী জেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ সম্পর্কে মিথ্যা, অশালীন ও আপত্তিকর বক্তব্য দিয়েছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে লাইভে এসে সংগঠনবিরোধী অশোভনীয় মন্তব্য ও নেতাকর্মীদের হুমকি দিয়েছেন। এসব অভিযোগে আব্দুল কাদের মির্জাকে সংগঠনের সব কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হলো।’

অবশ্য পরে সেই সুপারিশ প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ এইচ এম খায়রুল আনম চৌধুরী। তিনি সাংবাদিকে বলেন, ‘সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার দুই ঘণ্টা পরে তা প্রত্যাহার করেছি। যেহেতু বিষয়টি আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ইতিমধ্যে অবগত আছেন, সুতরাং আমরা তাঁর সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকব। আর এলাকার শান্তি রক্ষার্থেও কাদের মির্জাকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্তটি প্রত্যাহারের প্রয়োজন ছিল।’

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভাপতির সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ একরামুল করিম চৌধুরীর স্বাক্ষর থাকলেও প্রত্যাহারের বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করতে চাননি।

গোলাগুলির ঘটনায় বাদলের মামলা

কোম্পানীগঞ্জের চাপরাশিরহাট বাজারে মির্জা কাদের ও মিজানুর রহমান বাদলের অনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। বাদল বাদী হয়ে ৪৪ জনকে আসামি করে মামলা করেছেন। গতকাল রাত পৌনে ৮টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহেদুল হক রনি সাংবাদিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

ওসি আরো জানান, মামলাটি করা হয়েছে শুক্রবার রাতে। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে চরফকিরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জামাল উদ্দিন লিটনকে। মামলায় অজ্ঞাতপরিচয় আরো ৫০০ থেকে ৬০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

অন্যদিকে মির্জা কাদেরের অনুসারীরাও মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

উল্লেখ্য, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বাদল সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে নিয়ে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে চাপরাশিরহাট বাজারে গত শুক্রবার বিকেলে সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিলের ডাক দেন। তাঁর অনুসারীরা মিছিল করতে গেলে কাদের মির্জার সমর্থকদের সঙ্গে ধাওয়াধাওয়ি, সংঘর্ষ ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে চারজন গুলিবিদ্ধ এবং অন্তত ৩৫ জন আহত হন।

এর আগে বৃহস্পতিবার কাদের মির্জা কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটি ভেঙে দিলে দলের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password