যশোরের কেশবপুরে বিসিএস পরীক্ষার ছাড়পত্র না দেওয়ায় আত্মহত্যা করেন এসআই হাসান!

যশোরের কেশবপুরে বিসিএস পরীক্ষার ছাড়পত্র না দেওয়ায় আত্মহত্যা করেন এসআই হাসান!

বিসিএস পরীক্ষার জন্য ওসি ছাড়পত্র না দেওয়ায় পাবনার আতাইকুলা থানার এসআই হাসান আলীকে লাশ হতে হয়েছে বলে দাবি করেছে পরিবার। 

চাকরিতে যোগদানের দেড় মাস পর গত রোববার থানা ভবনের ছাদে উঠে নিজের পিস্তল দিয়ে মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করেন হাসান। সোমবার ভোরে তার লাশ যশোরের কেশবপুরের বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের বাড়িতে পৌঁছলে এলাকায় এক হৃদয় বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। 
পরিবারের সদস্যরাসহ এলাকাবাসী কান্নায় ভেঙে পড়েন। সোমবার জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে হাসানের লাশ দাফন করা হয়।পুলিশের দাবি হাসান আলী আত্মহত্যা করেছেন। তার বাবার দাবি বিসিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তাকে ছাড়পত্র দেননি। এ কারণে তাকে লাশ হতে হলো। এজন্য থানার ওসিই দায়ী। 

তিনি জানান, যদিও জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তা হাসানের ছুটি মঞ্জুর করেছিলেন। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করে আতাইকুলা থানার ওসি কামরুল ইসলাম বলেন, হাসান বিসিএস পরীক্ষা দেবেন একথা তিনি জানেন না। ছুটি মঞ্জুর হলেও তিনি ছুটিতে যাননি।বালিয়াডাঙ্গা গ্রামের আব্দুল জব্বার অনেক কষ্টে ছেলে হাসানকে কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্বদ্যিালয়ে পড়িয়েছেন। দুই বছর আগে হাসান এসআই পদে নিয়োগ পান। তার বাবা জব্বার এখনো রিকশাভ্যান চালান। 

জব্বার বলেন, ‘ছেলেকে বলেছিলেন সে যেন কোনো অবৈধ টাকা না নেয়। জীবনে কোনো নিরীহ মানুষকে যেন হয়রানি না করে। তার ছেলে সে কথা রেখেছিল।’ প্রতিবেশীরা জানান, জব্বারের টালির ছাউনি ও মাটির দেওয়ালের ঘর বলে দেয় হাসান অবৈধ টাকা নেননি। এখনো রিকশা ভ্যান চালাতে হয় তার বাবাকে।

 প্রতিবেশী আব্দুল গফুর বলেন, হাসান বিসিএস ক্যাডার হয়ে দেখাতে চেয়েছিলেন রিকশা ভ্যান চালকের ছেলেও বিসিএস ক্যাডার হতে পারে। এলাকার রূপালী দাস বলেন, তাদের সামনেই হাসান বড় হয়েছেন। কখনো কারও সঙ্গে সামান্য ঝগড়া হয়নি। বাবা-মার আশা ছিল চাকরি করে সংসারের সচ্ছলতা ফেরাবে হাসান। কিন্তু তা আর হলো না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password