মান্নাকে ভীষণ মিস করেন শাকিব

মান্নাকে ভীষণ মিস করেন শাকিব
MostPlay

ঢালিউড সুপারস্টার মান্না। যিনি তার বাস্তুবধর্মী অভিনয় দিয়ে জয় করে নিয়েছিলেন কোটি ভক্তের মন। প্রিয় এই নায়ক চলে যাওয়ার ১৩ বছর পূর্ণ হল আজ (১৭ ফেব্রুয়ারি)। ২০০৮ সালের এ দিনে তিনি মাত্র ৪৪ বছর বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন। মান্নার মৃত্যুবার্ষীকিতে তাকে স্মরণ করেছেন লাখ লাখ ভক্ত ও তার সহকর্মীরা। এই দিনে মান্নাকে স্মরণ করছেন বর্তমান সময়ের বাংলা সিনেমার কিং শাকিব খান।

সেখানে শাকিব লিখেছেন, ‘আপনি ছিলেন আনপ্যারালাল। আপনার কাজগুলোতে আলাদা স্বকীয়তা ছিল। ভীষণ মিস করি আপনাকে। ১৩ তম মৃত্যুবার্ষিকীতে আপনার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। প্রিয় মান্না ভাই, যেখানেই থাকুন শান্তিতে থাকুন...।’

কাজী হায়াৎ পরিচালিত মান্নার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘পাগলী’। ১৯৮৪ সালে এটি নির্মাণ করেন। মুক্তির দিক থেকে মান্নার প্রথম সিনেমা ‘তওবা’। আজহারুল ইসলাম খানের পরিচালনায় এ সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৮৪ সালে। একক নায়ক হিসেবে মান্নার প্রথম সিনেমা ‘কাশেম মালার প্রেম’। মোস্তফা আনোয়ার পরিচালিত এ সিনেমাটি মুক্তি পায় ১৯৯১ সালে। মুক্তির পর সিনেমাটি সুপার হিট হলে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি মান্নাকে।

এরপর একক নায়ক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করেন মান্না। উপহার দিয়েছেন অসংখ্য ব্যবসা সফল সিনেমা। এক সময় প্রযোজক-পরিচালকদের ভরসার স্থল হয়ে উঠেন এ অভিনেতা। নব্বই দশকের নাঈম-শাবনাজ, সালমান-শাবনূর, মৌসুমী-ওমর সানি জুটির পাশাপাশি নিজের অবস্থান পোক্ত করে নেন মান্না।

১৯৯৬ সালে সালমান শাহর মৃত্যুর পর কাণ্ডারি হয়ে উঠেন মান্না। পুরো ইণ্ডাস্ট্রিকে তুলে নেন নিজের কাঁধে। নিষ্ঠার সঙ্গে করেছেন নিজের সব কাজ। পরের বছর প্রযোজনায় আসেন মান্না। ঢাকাই সিনেমায় শুরু হয় মান্না অধ্যায়। তার প্রযোজনা নির্মিত প্রথম সিনেমা ‘লুটতরাজ’ ব্যবসায়িক সফলতা পায়। তারপর একের পর এক সিনেমা মুক্তি পায় মান্নার। দর্শকপ্রিয়তার পাশাপাশি ব্যবসায়িক সফলতাও পেয়েছিল সিনেমাগুলো।

কাজের স্বীকৃতি হিসেবে মান্না পেয়েছিলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, মেরিল-প্রথম আরো পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ অসংখ্য সম্মাননা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password