মেদ কমানোর সাত উপায়

মেদ  কমানোর সাত উপায়

প্রতিনিয়ত মেদ বেড়েই চলেছে কি যে করি?প্রচলিত এই বাক্যটির সাথে আমরা সকলে  কমবেশি পরিচিত। ওজন কমাতে গিয়ে প্রত্যেকেই সমস্যায় পড়েন পেটের চারপাশের চর্বি কমাতে। এর কারণটাও স্পষ্ট, মেদ কমানো অতো সহজ নয়, যতোটা আমরা মুখে বলে ফেলি। তবে, অসম্ভবও নয়।

মেদ কমাতে কয়েকটি নিয়ম মেনে চললে আপনিও হতে পারেন মেদহীন কোমরের অধিকারি। চলুন জেনে নেওয়া যাক, সে উপায়গুলো কী কী-

তৃপ্তি করে খান

এমন কথা শুনে আকাশ থেকে পড়ার কিছু নেই। বৈজ্ঞানিকভাবে এটা প্রমাণিত যে, যারা ধীরে ধীরে সময় নিয়ে চিবিয়ে চিবিয়ে খায়, তাদের হজমটা বেশ তাড়াতাড়ি হয়। ব্যস্ততা নিয়ে, কথা বলতে বলতে কিংবা ফোনে ফেসবুক দেখতে দেখতে খাবেন না। এতে মস্তিষ্ক ঠিকঠাক বার্তা পায় না, কখন আপনার পেট ভরে গিয়েছে। এর ফলে অধিকাংশ সময়েই আমরা বেশি খেয়ে ফেলি।

মনকে শান্ত রাখুন

 মন শান্ত না থাকলে, উদ্বেগ-উৎকণ্ঠার মধ্যে থাকলে শরীরের মেটাবলিজম হার কমে যায়। ঘুম ঠিক করে হয়না। এমনকি খাবার হজম সহজে হয় না  দেরিতে 

হয়। তাই যতোটা সম্ভব মনকে শান্ত রাখার চেষ্টা করুন। বিশেষ করে খাওয়ার সময় এবং ঘুমের আগে।

সোজা হয়ে বসুন

যেকোনো কাজের সময় বা অন্য কোনো সময়ে আমরা বেশির ভাগ সময় কুঁজো হয়ে বসে থাকি। দীর্ঘ সময় এভাবে বসে  থাকলে  পেটের পেশিগুলো সেভাবেই ঝুলে যায়। তাই লক্ষ্য রাখবেন, বসার সময় মেরুদন্ড যেনো সোজা থাকে 

পেট টানটান করে ব্যায়াম

অনেকে প্রতিদিন এক্সারসাইজ কারার পরেও পেটের মেদ ঝরে না। তার কারণ যেকোনো ব্যায়াম করার সময়ে পেটের পেশিগুলো টানটান রেখে ভেতরের দিকে টেনে ব্যায়াম করতে হবে। না হলে পেটের উপর চাপ পড়বে না। এক্ষেত্রে অবশ্য, শুধু কার্ডিয়ো করলে হবে না। করলে হাই ইনটেনসিটি ট্রেনিং করতে হবে। তাছাড়াও পেটের ব্যায়ামে প্ল্যাঙ্ক বা ক্রাঞ্চেস করা প্রয়োজন।

  যোগব্যায়ম

পেটের মেদ ঝরাতে যোগব্যায়াম উপকারি। নিয়মিত যোগব্যায়াম করলে পেটের মেদ কমানো কমে যায়। এক্ষেত্রে ধনুরাসন, ভুজাঙ্গাসন, উস্ত্রাসনের মতো বেশ কিছু আসন আপনাকে পেটের মেদ কমাতে সাহায্য করবে।

বেছে বেছে খাবার

এমন খাবার খেতে হবে যা সহজে হজম হয়ে যায়। শাক-সবজি-ফলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে। ভুড়ি কমানোর জন্য এগুলো আদর্শ খাবার। তেল-মশলা কম খেলেও ডায়েটে গুড ফ্যাট রাখতে হবে। না হলে শরীরে ফ্যাট বার্ন হবে না। বাদাম, নাট-বাটারের মতো খাবারে গুড ফ্যাট থাকে। তাই এগুলো প্রতিদিনের ডায়েটে অবশ্যই রাখবেন। সহজ করে বললে, ফাইবার ও গুড ফ্যাট আছে এমন খাবার খাবেন।

চিনি-লবণ খুব কম

 লবণ যতো শরীরে যাবে, ততই শরীর বেশি পরিমাণে পানি ধরে রাখবে। এর ফলে ভুড়ি আরো ফুলে থাকবে। তাই লবণ মেপে খাবেন। কম সোডিয়াম রয়েছে, এমন লবণ কিনতে পারেন। অন্যদিকে, রিফাইন্ড চিনি একবার খেলে, খিদে আরো বাড়িয়ে দেয়। বারবার খেতে ইচ্ছে করে। এই জন্যেই একটা মিষ্টি খেলে আমাদের আরো একটা খেতে ইচ্ছে করে। তাই চিনি একদম বাদ দেওয়ার চেষ্টা করুন। মধু, গুড় বা মিষ্টি ফল বিকল্প হিসেবে বেছে নিতে পারেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password