সুপার লিগ থেকে সরে এলো রিয়াল মাদ্রিদও

সুপার লিগ থেকে সরে এলো রিয়াল মাদ্রিদও

একে একে সব ক্লাব নিজেদের প্রত্যাহার করে নেয়ায় ইউরোপের বিদ্রোহী লিগ, সুপার লিগের ভাগ্য যে আপাতদৃষ্টিতে শেষ হয়ে গেছে, তা জানা কথা। শেষ পর্যন্ত সুপার লিগের প্রস্তাবক রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজও এই প্রজেক্ট স্থগিতের ঘোষনা দিয়েছেন।প্রিমিয়ার লিগের ৬টি ক্লাবকে অনুসরণ করে সুপার লিগ থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় এসি মিলান, ইন্টার মিলান এবং অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ। বাকি থাকে শুধু জুভেন্টাস, রিয়াল মাদ্রিদ এবং বার্সেলোনা।

ফল যা হবার তাই হল। জুভেন্তাস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া আগ্নেলি এবং রিয়াল মাদ্রিদ প্রেসিডেন্ট ফ্লোরেন্তিনো পেরেজের মস্তিষ্কপ্রসূত ইউরোপিয়ান সুপার লিগের পরিকল্পনা আপাতত স্থগিত। স্থগিতের ঘোষণা নিজেই দিলেন পেরেজ। যদিও, ভাঙলেও মচকাচ্ছেন না লস ব্ল্যাঙ্কোজ প্রেসিডেন্ট। ভবিষ্যতের জন্য তুলে রাখলেন এই পরিকল্পনা।পেরেজ বলছেন, ‘সুপার লিগের পরিকল্পনা আমাদের চলমান থাকবে।’ জুভেন্টাস প্রেসিডেন্ট আন্দ্রেয়া আগ্নেলিও জানিয়েছেন, সুপার লিগের পরিকল্পনা নিয়ে আপাতত আমরা আর এগোচ্ছি না।

স্বাভাবিকভাবে জুভেন্টাস বিদ্রোহী লিগ থেকে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করা হলেও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা ‘ওল্ড লেডি’র তরফ থেকে এখনও আসেনি। স্পেনের রেডিও স্টেশন ক্যাডেনা সার’কে সুপার লিগের প্রস্তাবিত চেয়ারম্যান ফ্লোরেন্তিনো পেরেজ জানিয়েছেন, ‘সুপার লিগ প্রোজেক্টকে মৃত বলে ঘোষণা এখনই করা যাবে না। কারণ ১২টি দল এখনও এই পরিকল্পনা ছেড়ে বেরিয়ে আসেনি।’ এমনকি যে ক্লাবগুলি এই পরিকল্পনা ছেড়ে বেরিয়েছে তারা এভাবে বেরিয়ে যেতে পারেন না বলেও দাবি করেছেন পেরেজ।তার কথায়, ‘কেউ এভাবে চুক্তি ভঙ্গ করে সহজে বেরিয়ে যেতে পারে না, কারণ প্রত্যেকেই চুক্তির আওতায় রয়েছে।’

পরিবর্তে ক্লাবগুলোর শাস্তি হিসেবে কী বরাদ্দ রয়েছে, এমন প্রশ্নের উত্তর যদিও সযত্নে এড়িয়ে গেছেন তিনি। তবে ইএসএলের পরিকল্পনা ব্যর্থ হওয়ায় যারপরনাই হতাশ তিনি। পেরেজ আগেই দাবি করেছিলেন তরুণ প্রজন্মকে ফুটবলে উৎসাহিত করতে এবং ইউরোপিয়ান ফুটবলকে বাঁচাতেই সুপার লিগের পরিকল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। কিন্তু মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই মাথা নোয়ানোর কারণ হিসেবে উয়েফা প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্ডার সেফেরিন এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের ফুটবলের গভর্নিং বডি’র রোষানলকে দায়ী করেছেন পেরেজ।
বর্ষিয়ান পেরেজ বলছেন, ‘সুপার লিগ উদ্ভাবনের পিছনে কারণগুলি ফুটবলের গভর্নিং বডিগুলোর কাছে সঠিক ব্যাখ্যা করা হয়নি এমনকি সঠিক ব্যাখ্যা করার পর্যাপ্ত সময়ও তাদেরকে দেওয়া হয়নি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমি দীর্ঘ ২০ বছর ধরে ফুটবলের সঙ্গে জড়িত। কিন্তু কখনও এমনটা দেখিনি। মনে হচ্ছে যেন আমরা কাউকে হত্যা করেছি। মনে হচ্ছে আমরা বুঝি ফুটবলকে হত্যা করতে উদ্যত হয়েছি। কিন্তু আসল ব্যাপার হল আমাদের উদ্দেশ্য ছিল ফুটবলকে রক্ষা করা।’পেরেজের কথায়, ‘চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বর্তমান ফর্ম্যাটটি ভীষণ পুরনো এবং কোয়ার্টার ফাইনালের আগে অবধি কোনোভাবেই মনোগ্রাহী নয়। তাই আমরা ভেবেছিলাম আমরা এমন এক ফরম্যাট চালু করব, যেখানে ইউরোপের প্রথমসারির দলগুলো মৌসুমের শুরু থেকেই একে অপরের সঙ্গে মুখোমুখি হবে। আমরা সেই সংখ্যাটা নির্ধারণ করেছিলাম। আমাদের মনে হয়েছিল এতে দলগুলোর আর্থিক মুনাফাও হতো।’

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password