অজ্ঞান করে স্কুলছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

অজ্ঞান করে স্কুলছাত্রীকে রাতভর ধর্ষণ, গ্রেফতার ১

খুলনায় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. মিজানুর রহমান নামে এক মাছ ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। রোববার দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে তাকে গ্রেফতার করে পাইকগাছা থানা পুলিশ।এর আগে ওইদিন রাত ১২টার দিকে ধর্ষণের শিকার ওই ছাত্রীর মা বাদী হয়ে পাইকগাছা থানায় মিজানুর রহমানের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরো ২ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, পাইকগাছা উত্তর সলুয়া এলাকার মৃত রহিম বক্সের ছেলে মাছ ব্যবসায়ী মিজানুর রহমান মাছ বিক্রির জন্য ভুক্তভোগির বাড়িতে প্রায়ই যাওয়া আসা করতেন। দীর্ঘদিন মাছ ক্রয়-বিক্রয়ের সুবাদে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে ওঠে। মিজানুর রহমান নবম শ্রেণির ছাত্রীকে ভালো ছেলের কাছে বিয়ে দেবেন এমন আশ্বাস দেন। গত ৩ মার্চ পাত্র মিজানুরের বাসায় এসেছে এমন কথা বলে ওই ছাত্রী এবং তার মাকে তারা যেতে বলেন। ওই দিন বিকেল ৩টায় বাদী তার মেয়েকে নিয়ে মিজানুর রহমানের বাড়িতে যান। কিন্তু সেখানে বিয়ের জন্য পাত্র না থাকায় ভুক্তভোগীর মা পাত্র কোথায় জানতে চাইলে মিজান বলেন, একটু বসেন চলে আসবে।

কিছুক্ষণ পর মিজানুর রহমান ভুক্তভোগী নবম শ্রেণির ছাত্রী এবং তার মাকে শরবত খেতে দেন। শরবত খাওয়ার পর ওই স্কুলছাত্রীর মা অজ্ঞান হয়ে পড়েন। এক ঘণ্টা পর জ্ঞান ফিরলে দেখেন ওই বাড়িতে কেউ নেই। এমনকি তার মেয়েও নেই। মেয়েকে অনেক খোঁজাখুঁজি করেও না পেয়ে নিজ বাড়িতে ফিরে যান। বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার স্বামীকে জানান। ওইদিন রাতভর খোঁজাখুঁজি করেন তারা। পরদিন সকাল ৭টায় কপিলমনি বাজারে ধান্য মার্কেট এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে তার মেয়ে এমন সংবাদ পেয়ে তিনি ছুটে যান। সেখান থেকে ওই ছাত্রীকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন।

ওই ছাত্রী তার মাকে জানান, শরবত খাওয়ানোর পর অজ্ঞান অবস্থায় তাকে কয়রা থানা এলাকার একটি বাড়িতে নিয়ে যান মিজানুর। সেখানে রাতভর তাকে ধর্ষণ করেন। সকালে তাকে কয়রা থেকে নিয়ে কপিলমুনি বাজার এলাকায় রেখে যান। 

পাইকগাছা থানার ওসি এজাজ শফি বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে আসামি মিজানুর রহমানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসিতে ভর্তি করা হয়েছে। 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password