কাদের মির্জার হরতালে পুলিশের মারমুখী অবস্থান, লাঠিচার্জে আহত ১২

কাদের মির্জার হরতালে পুলিশের মারমুখী অবস্থান, লাঠিচার্জে আহত ১২

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে আওয়ামী লীগের দু’গ্রুপে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর নিরস্ত্র নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের ছোট ভাই পৌর মেয়র কাদের মির্জার আহ্বানে হরতালের সমর্থনে মিছিল চলাকালে পুলিশ লাঠিচার্জ করেছে। সকাল থেকে পুলিশ মারমুখী অবস্থান নিয়েছে বলে দাবি করেছে মির্জা কাদেরের সমর্থিত নেতাকর্মী। লাঠিচার্জে অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।

শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হরতালের সমর্থনে মির্জা কাদেরের সমর্থিত নেতাকর্মী বসুরহাট বাজারের রুপালী চত্বর থেকে জমায়েত হয়ে মিছিল নিয়ে থানার সামনে গেলে পুলিশ তাদের ওপর লাঠিচার্জ করে। মির্জা কাদেরের সমর্থকদের দাবি, সকালের দিকে পুলিশের মারমুখী আচরণ করে এ সময় পুলিশের লাঠিচার্জে তাদের ১২ জন নেতাকর্মী আহত হয় এবং কয়েকটি চেয়ার ভাংচুর করা হয়।

আহতরা হলেন উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক গোলাম ছারওয়ার, বসুরহাট পৌরসভা ৯নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি রাজীব, পিচ্ছি মাসুদ, পৌরসভা ৪নং ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, যুবলীগ নেতা আরজুসহ ১২ জন বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মীসমর্থক।

অপরদিকে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জে দুজন ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা হয়। এছাড়াও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে কোম্পানীগঞ্জে র‌্যাব, ডিবি ও অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার ওসি মীর জাহিদুল হক রনি জানান, সকালে কাদের মির্জা ওসি ও পরিদর্শককে (তদন্ত) থানা থেকে বের করে দেয়ার হুমকি দিয়ে থানায় এসে পুলিশের মুখের ওপর হাত নিয়ে অশ্লীল কথাবার্তা বলেন। কাদের মির্জা পুলিশের সিনিয়র অফিসারদের সাথে গায়ে পড়ে মারমুখী আচরণ করে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে পুলিশ হট্রগোল সৃষ্টিকারী মির্জার সমর্থকদের ওপর লাঠিচার্জ করে।

এদিকে হরতাল সকাল-সন্ধ্যার পরিবর্তে বেলা ১২টা পর্যন্ত এবং সংবাদ সম্মেলনে পরের কর্মসূচি ঘোষণা করবেন রুপালী চত্বরে এক প্রতিবাদ সভায় জানিয়েছেন আবদুল কাদের মির্জা।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password