প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া, জনমনে আতঙ্ক

প্রকাশ্যে সন্ত্রাসীদের অস্ত্রের মহড়া, জনমনে আতঙ্ক

কুমিল্লার চান্দিনায় বেপরোয়া হয়ে উঠেছে অস্ত্রধারী সন্ত্রাসীরা। অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্রসহ নানা ধরনের দেশীয় অস্ত্র নিয়ে চান্দিনা বাজারসহ আশপাশের এলাকায় মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে সন্ত্রাসীরা। অভিযোগ রয়েছে, অস্ত্রের মহড়া দিয়ে ব্যবসায়ীসহ জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে এলাকায় আধিপত্য বিস্তারসহ চাঁদাবাজি করাই এসব অস্ত্রধারীদের মূল লক্ষ্য।

এক সপ্তাহের মধ্যে এমন কয়েকটি অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। এরই মাঝে পুলিশ বেশ কিছু অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারও করেছে। এদিকে চান্দিনা উপজেলা সদরে প্রভাবশালী এক রাজনৈতিক নেতার ছত্রছায়ায় এসব সন্ত্রাসীরা দিন দিন আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ওই নেতার শেল্টারেই এলাকায় মাদকসহ আগ্নেয়াস্ত্রের আনাগোনা বাড়ছে বলে অভিযোগ ব্যবসায়ীসহ সচেতন মহলের।

অনুসন্ধানে জানা যায়, সদ্যসমাপ্ত পৌর নির্বাচনের পর বেশ কয়েকটি অস্ত্রের মহড়ার ঘটনায় চান্দিনা বাজারের ব্যবসায়ী তথা জনমনে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে। পৌর এলাকার হারং গ্রামের জামশেদের ছেলে রাকিব হাসান অস্ত্র হাতে নিয়ে এলাকায় নিয়মিত মহড়া দিচ্ছে। দুই হাতে অস্ত্র নিয়ে ছবি তুলে এই সন্ত্রাসী তার সহযোগীদের দিয়ে তা ফেসবুকে আপলোড করে জনমনে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। এসব ছবি দেখেও রাজনৈতিক শেল্টারে থাকার কারণে তাকে গ্রেফতার করছে না পুলিশ- এমনটাই অভিযোগ এলাকার লোকজনের।

গত ১৮ জানুয়ারি পৌরসভার মহাড়ং এলাকায় এক কাউন্সিলরের বাড়ি থেকে অস্ত্র উদ্ধার করেছে পুলিশ। ২১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার উপজেলার বাড়েরা ইউনিয়নের গণিপুর এলাকায় অস্ত্র উঁচিয়ে গ্রামবাসীকে ধাওয়া করে তানভীর আহমেদ ভূইয়া নামের এক সন্ত্রাসী।

এ সময় ৯৯৯ নম্বরে ফোন করেন এলাকার লোকজন। খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে ছুটে গিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় তার কাছ থেকে দুটি পাইপগান ও একটি গ্যাসগানসহ একটি ককটেল উদ্ধার করা হয়। সে ওই গ্রামের মৃত মাহবুবুর রহমান বাবুল ভূইয়ার ছেলে।

এ বিষয়ে চান্দিনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শামসউদ্দীন মোহাম্মদ ইলিয়াছ জানান,  আটক তানভীরের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। তার বিরুদ্ধে তিতাস থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। তিনি বলেন, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে যারাই জড়িত থাকুক কিছুতেই ছাড় দেয়া হবে না। অবৈধ অস্ত্র যার কাছেই পাওয়া যাবে তাকেই আটক করে আইনের আওতায় আনা হবে। জনমনে ভীতি সৃষ্টি কিংবা প্রভাব বিস্তারসহ চাঁদাবাজি করতে কাউকে সুযোগ দেয়া হবে না।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password