কী কী লুকিয়ে আছে রহস্যময় অ্যান্টার্কটিকার তলদেশে

কী কী লুকিয়ে আছে রহস্যময় অ্যান্টার্কটিকার তলদেশে
MostPlay

পৃথিবীর সবচেয়ে উচ্চতম, শীতলতম এবং শুষ্কতম মহাদেশ এন্টার্কটিকা। এ মহাদেশের পরিবেশ এতই দুর্গম যে এখানে কোন মানুষের পক্ষে স্থায়ীভাবে বসবাস করা সম্ভব নয়। আয়তনের দিক থেকে এশিয়া, আফ্রিকা, উত্তর আমেরিকা এবং দক্ষিণ আমেরিকার পরে , এই মহাদেশের অবস্থান। এর আয়তন প্রায় ১৪ মিলিয়ন বর্গকিলোমিটার।

কমলা লেবুর মত আকৃতিসম্পন্ন পৃথিবীর একদম তলদেশে অবস্থিত মহাদেশটির নাম অ্যান্টার্কটিকা। আর দ্বিমাত্রিক সমতলে আঁকা বিশ্ব মানচিত্রে এই মহাদেশের অবস্থান সর্ব দক্ষিণে। স্বাভাবিকভাবেই পৃথিবীর চৌম্বকীয় আবেশের দক্ষিণ মেরুটিও এই মহাদেশেই অবস্থিত।

আয়তনের হিসেবে মহাদেশগুলোর মধ্যে অ্যান্টার্কটিকা পঞ্চম স্থানে রয়েছে। কিন্তু অন্য অনেক হিসেবেই মহাদেশগুলোর তালিকায় প্রথম অবস্থানটি এই অ্যান্টার্কটিকার দখলে। অ্যান্টার্কটিকা একাধারে বিশ্বের শীতলতম এবং শুষ্কতম মহাদেশ। তাছাড়া বিশ্বে বরফ হিসেবে জমাটবদ্ধ সুপেয় পানির শতকরা প্রায় নব্বই ভাগই এই মহাদেশে অবস্থিত। অ্যান্টার্কটিকার এমন অর্জনের তালিকা বেশ দীর্ঘ।

অন্যদিকে বিশ্বের মহাদেশগুলোর মধ্যে দুর্গমতম হওয়ায় এই অ্যান্টার্কটিকা নিয়ে গুজবেরও কমতি নেই কোন। যেমন ধরুন, পৃথিবী সৌরজগতের অন্য গ্রহগুলোর মত গোলাকার নয়, এমন উদ্ভট দাবির সমর্থকরা মনে করেন, অ্যান্টার্কটিকা মহাদেশ আসলে পুরো পৃথিবীকে ঘিরে রাখা একটি বরফের দেয়াল মাত্র। তবে এ ধরণের বিশ্বাস এবং বক্তব্য অ্যান্টার্কটিকা এবং পৃথিবী সম্পর্কে নিজের অজ্ঞতারই বহিঃপ্রকাশ।

সর্বদা রহস্যে ভরা সমুদ্রের তলদেশ। সমুদ্রের একটা সীমা পর্যন্ত বিজ্ঞানীরা পৌঁছাতে পারলেও এখনো সম্পূর্ণ নিশ্চিতভাবে জানা নেই তাদের। তবে এখনো সমুদ্র গহবরে মাটির নিচে কী রয়েছে সেই উত্তর খুঁজে চলেছেন বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি এই অনুসন্ধানে যে তথ্য হাতে এসেছে তাতে অবাক বিজ্ঞানমহল।

এক প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, অ্যান্টার্কটিকার তলদেশে প্রতিকূল পরিবেশে যেখানে প্রাণী থাকার কোনো সম্ভাবনাই থাকে না সেখানেও রয়েছে অদ্ভূত প্রাণী। অ্যান্টার্কটিকার বরফের প্রায় কয়েক মাইল নিচে ঘুটঘুটে অন্ধকার কালো সমুদ্রের পানিতে বিজ্ঞানীরা নতুন ধরণের প্রাণী আবিষ্কার করেছেন।

প্রতিবেদনটি থেকে আরো জানা গেছে, অ্যান্টার্কটিকায় একটি সমীক্ষা চালাতে গিয়ে একদল গবেষক দুর্ঘটনাক্রমে বরফের নীচে মাইনাস ২° তাপমাত্রায় ভিন্ন প্রজাতির প্রাণীর দেখা মেলে। যার ভিডিও প্রকাশ করে ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভে। সমুদ্রের মধ্যে ১৫০ ভিতরে, ৩,০০০ ফুট গভীর বরফ ড্রিল করে ক্যামেরা ঢুকিয়ে চলছিল সমীক্ষার কাজ। ক্যামেরা নিচে নেমে বোল্ডারে ধাক্কা লাগতেই ওই প্রাণীর দেখা মেলে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password