মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিষ ও বিভিন্ন টোপ দিয়ে চলছে পাখি নিধন

মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিষ ও বিভিন্ন টোপ দিয়ে চলছে পাখি নিধন

সিলেটের মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলায় বিষ ও বিভিন্ন টোপ দিয়ে চলছে পরিযায়ী পাখি নিধন এবং সেখান থেকে অচেতন একটা চিলকে উদ্ধার করার পর অবমুক্ত করা হয়। হাওরের বিভিন্ন বিলে এখন পানি শুকিয়ে গেছে। এতে খাদ্য সংকটে পড়েছে পাখিরা। জুড়ী রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন একটি মৎস্য খামারে খাবারের সন্ধানে বিভিন্ন জাতের পরিযায়ী পাখির সমাগম দেখা যায়।

সেখানকার মৎস খামারের মালিকের খতিগ্রস্ত হওয়ায় এক ধরনের বিষটোপ দিয়ে পাখি নিধন করায় ব্যস্ত মৎস খামারি। পাখি মারা যাওয়ার খবর পাওয়ার পর পরিবেশবাদী একটি সংঘটন  সেইভ এনিম্যালস সেইভ এনভায়রনমেন্ট সেখানে গতকাল সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয় এবং তারা পাখি না মারার জন্য অনুরোধ করে। 

তারা মৎস্য খামারের পাহারাদারের সাথে কথা বলে জানতে পারে, গৌরাঙ্গ হাওরের পানি না থাকায় পানকৌড়ি পাখি এবং চিল পাখি দলে দলে তাদের মৎস্য খামারে এসে মাছ শিকার করে। তাই তারা "পটাস (বিষ)" মাছের ভেতরে দিয়ে দেন, এবং সেই মাছ পাখি খেয়ে মারা যায়।

খামারের মালিক বলেন, পাহারাদার পাখি সামলাতে পারছেন না পাখিকে দমিয়ে রাখতে না পারায়, তিনি বাধ্য হয়ে পটাশ (বিষ) দেন। পরিবেশবাদীরা উনাকে বন্যপ্রাণী আইন সমন্ধে অভগত করলে তিনি আশ্বাস দেন আর এইভাবে আর পটাশ (বিষ) দিবেন না। এবং পাহারার জন্য পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী নিয়োগ দিবেন।

পরিবেশেবাদীরা জানায়, প্রায় ১০ টির মতো পানকৌড়ি পাখি মারা গেছে ( তাদের ভাষ্য মতে) এবং চিল পাখি ৪টির মতো মারা যাওয়ার সত্যতা পাওয়া যায়। এবং ১টি অচেতন অবস্থায় পেয়ে তারা সাথে সাথে চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহন করে। ফার্মেসিতে নিয়ে যায় সেখানে ইনজেকশন দিয়ে এবং স্যালাইন খাওয়ায় পাখিটি সুুুস্থ  হয়।

পরিবেশ কর্মীরা জানায়, উদ্ধারকৃত পাখিটিকে সুস্থ করে ১৫ ঘন্টা পরে গতকাল ৮ মে পাখিটি সুস্থ হয়ে গেলে তাকে আমরা আবার প্রকৃতিতে পূণরায় অবমুক্ত করি।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password