কুমিল্লায় ফোন ফেরত দিতে গিয়ে এক মাদ্রাসাছাত্রী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। শনিবার বিকালে শান্ত (১৯) নামে এক তরুণ পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ুয়া ওই মাদ্রাসাছাত্রীকে (১৪) ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগির মা থানায় মামলা করলে প্রতিবেশি ওই তরুণকে গ্রেফতার করে পুলিশ। রোববার দুপুরে আদালত তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।

অভিযুক্ত তরুণের নাম মেহেদি হাসান শান্ত। তিনি নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের ডুলিপাড়া এলাকার একটি বাসার ভাড়াটিয়া মহিউদ্দিনের ছেলে। শান্ত কুমিল্লা ইপিজেডের একটি কারখানায় কাজ করেন।

পুলিশ জানায়, ওই ছাত্রী ও অভিযুক্ত শান্তর পরিবার একই বাড়ির আলাদা টিনসেড ঘরে ভাড়া থাকেন। দুই পরিবারের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। শনিবার বিকেলে শান্তর ফোন থেকে গান সংগ্রহ করতে তার ফোনটি নেয় ওই ছাত্রী। এর কিছুক্ষণ পর ফোনটি ফেরত দিতে গেলে ওই তরুণ বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে তাকে ধর্ষণ করেন। খবর পেয়ে রাতেই অভিযুক্ত তরুণকে আটক করে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ মডেল থানার ইপিজেড পুলিশ ফাঁড়ির সদস্যরা। রোববার সকালে শান্তকে আসামি করে থানায় মামলা করেন মেয়েটির মা।

ইপিজেড ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান, থানায় মামলা হওয়ার পর অভিযুক্ত তরুণকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য মেয়েটিকে পাঠানো হয়েছে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। ঘটনাটি তদন্ত করে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।