মোবাইলে প্রেম, ডেকে নিয়ে ৯ জন মিলে গৃহবধূকে ধর্ষণ

মোবাইলে প্রেম, ডেকে নিয়ে ৯ জন মিলে গৃহবধূকে ধর্ষণ

সিলেটে এনে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক গৃহবধূকে ৯ জন মিলে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (১৫ জুলাই) সকালে এ ঘটনায় সিলেট মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানায় মামলা করেন ভুক্তভোগী গৃহবধূ। মামলার পর পৃথক অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

একই দিন বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হয়। সিলেটের মুখ্য মহানগর বিচারিক হাকিম আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার ২ নম্বর আসামি ফয়সল আহমদ। তিনি এয়ারপোর্ট থানার ফড়িংউরা গ্রামের ইউনুছ আলীর ছেলে। ভুক্তভোগী নারীর অভিযোগ, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার খাদিমনগর ইউনিয়নের বুরজান চা-বাগানের সুন্দর মরাকোণা টিলার ওপর নেয়া হয়। সেখানে একটি চা-বাগানের নির্জন স্থানে নিয়ে ৯ জন মিলে পর্যায়ক্রমে টানা ৩ দিন ধরে আটকে রেখে ধর্ষণ করেন।

এয়ারপোর্ট থানার ওসি মাইনুল জাকির বলেন, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে একজন জবানবন্দি দিয়েছেন। অপর আসামিরা স্বীকারোক্তি দিতে চাতুরতার আশ্রয় নিচ্ছেন। প্রয়োজনে বাকিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মামলার এজাহারে ভুক্তভোগী উল্লেখ করেন, মোবাইলে সিলেটের এয়ারপোর্ট থানার লাউগুল গ্রামের জামেদ আহমদ জাবেদের (৩৬) সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। একপর্যায়ে তাকে বিয়ের প্রস্তাব দেন। জাবেদের কথা মতো ১০ জুলাই সন্ধ্যায় ভৈরব থেকে বাড়ি ছেড়ে সিলেটের দক্ষিণ সুরমার হুমায়ুন রশিদ চত্বরে যান তিনি।

সেখান থেকে নিজের বাড়িতে নেয়ার কথা বলে তাকে খাদিমনগর বুরজান চা-বাগানের মরাকোণা টিলার ওপর একটি ছাউনির ভেতরে নিয়ে যান জাবেদ। সেখানে আগে থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন জাবেদের সহযোগী ফয়সল আহমদ, রাসেল আহমদ ও জামিল আহমদ। তারা ভয় দেখিয়ে পালাক্রমে ওই ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) সকাল ৬টার দিকে সেখানে যান জাবেদের আরও ৫ সহযোগী রুবেল, ইমাম, ফারুক, মোশাহিদ আহমদ ও আবুল। এ সময় জাবেদসহ অন্যরা ওই ৫ জনের কাছে তাকে দিয়ে চলে যান।

এরপর তারাও পালাক্রমে তাকে ধর্ষণ করেন। সিলেট মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (গণমাধ্যম) বিএম আশরাফ উল্যাহ তাহের বলেন, এ ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় মৌখিক অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। এর পরিপ্রেক্ষিতে বুরজান চা-বাগান এলাকা থেকে কথিত প্রেমিক জামেদ আহমদ জাবেদ ও মো. মোশাহিদ আহমদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর তাদের দেয়া তথ্যমতে ফয়সল ও রাসেলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password