স্বামী শাহজাহানের মতো সড়কেই প্রাণ গেল কামরুন্নাহারের

স্বামী শাহজাহানের মতো সড়কেই প্রাণ গেল কামরুন্নাহারের

স্বামী শাহজাহান তোতা সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন দুই দশক আগে। ঠিক স্বামীর মতোই সড়কে প্রাণ গেল তার স্ত্রী কামরুন্নাহারের। শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুর পৌনে ২টার দিকে রাজশাহীর কাটাখালীতে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান তিনি।

নিহত কামরুন্নাহার রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার রাজারামপুরের বাসিন্দা। দুর্ঘটনায় তার ছোটবোন শামসুন্নাহার (৩২), বোনের স্বামী সালাহউদ্দিন (৩৮), ছেলে সাজিদ (৭) ও মেয়ে সাফা (৪) মারা যান।

মাইক্রোবাস চালকসহ এই দুর্ঘটনায় মারা গেছেন ১৭ জন। তারা সবাই রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দা।

দুর্ঘটনার পর মরদেহ উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।

খবর পেয়ে সেখানে ছুটে যান নিহত কামরুন্নাহারের ভাতিজা বৌ চম্পা খাতুন। স্বামীর চাকরির সুবাদে তারা রাজশাহীতে বসবাস করেন।

তিনি জানান, বন্ধুর পরিবারের সঙ্গে তারা রাজশাহীতে বেড়াতে আসছিলেন। আগেই সেই খবর তাদের জানানো হয়। কিন্তু তারা আর রাজশাহীতে পৌঁছাননি। দুর্ঘটনায় পথে প্রাণ হারিয়েছেন।

তিনি বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর আগুনে একেবারেই দগ্ধ হয়েছেন স্বজনরা। তিনি কেবল ফুফা শ্বশুর সালাউদ্দিনের মরদেহ চিনতে পেরেছেন। বাকিদের কারো মরদেহ চেনার উপায় নেই। পুড়ে এতেবারেই অঙ্গার হয়ে গেছে।’

মর্মান্তিক এই সড়ক দুর্ঘটনা আহত হয়েছেন দুজন। এরা সবাই দুর্ঘটনা-কবলিত বাসটির যাত্রী ছিলেন।

দুর্ঘটনা তদন্তে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। এনিয়ে মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

রাজশাহীর কাটাখালী থানার সিসিটিভির ভিডিও দৃশ্যে দেখা যায়, পীরগঞ্জের মাইক্রোবাসটি সড়কের ডান পাশ (ভুল পথে) চলছিল। এসময় বিপরীত দিক থেকে আসা দ্রুতগামী হানিফ পরিবহনের একটি বাস মাইক্রোবাসটিকে ধাক্কা দেয়। এতে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। এসময় পাশে থাকা একটি লেগুনাতেও আগুন ধরে যায়।

ঘটনাস্থল থেকে ছয়জনকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা মারা যান। পরে মাইক্রোবাস থেকে আরও ১১ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়। শুধুমাত্র মাইক্রোচালক হানিফ মিয়া প্রাণে বেঁচে যান।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password