১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হবিগঞ্জ

১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে লণ্ডভণ্ড হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জে মাত্র ১৫ মিনিটের কালবৈশাখী ঝড়ে শতাধিক ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এ সময় ভেঙে পড়েছে বেশ কিছু গাছপালা। মাঠে থাকা ফসলেরও ব্যাপক ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। এমনকি বৈদ্যুতিক খুঁটি ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে পুরো শহর। বুধবার দুপুরে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলাশহরসহ জেলার অধিকাংশ এলাকা রয়েছে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায়। 

মঙ্গলবার রাত সাড়ে দশটার দিকে হবিগঞ্জ শহরসহ বিভিন্ন উপজেলার ওপর দিয়ে কালবৈশাখী ঝড় বয়ে যায়। মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী এই ঝড়ে জেলার ৯টি উপজেলাতেই ব্যাপক ক্ষতি হয়। তবে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে হবিগঞ্জ শহর ও আশপাশ এলাকায়। ঝড়ের তাণ্ডবে শতাধিক কাচা ঘরবাড়ি বিধ্বস্থ হয়ে যায়। বিধংসী এ ঝড়ে অনেক এলাকার গাছ-পালা ভেঙে পড়ে। ছোট-বড় বিলবোর্ডও খসে রাস্তায় এসে পড়ে। বেশ কয়েকটি রাস্তায় গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে ও ট্রান্সফরমার ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ হয়ে যায়।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড হবিগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আব্দুল মজিদ বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ২৪টি বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে যায়। এছাড়া দুটি ট্রান্সফরমারও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। যে কারণে পুরো জেলায়ই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়। তবে রাতেই বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মাঠে নামেন। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহযোগিতায় রাতভর চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক করার চেষ্টা করা হয়।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হবিগঞ্জ সদর উপজেলার ছোট বহুলা গ্রাম পরিদর্শন করেছেন সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. আবু জাহির। দ্রুত ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর তালিকা প্রণয়ন ও তাদেরকে সরকারি সহায়তা প্রদানের জন্য তিনি প্রশাসনের কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দিয়েছেন।

ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনের সময় এমপি আবু জাহিরের সাথে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিজেন ব্যানার্জী, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সাখাওয়াত হোসেন রুবেল, সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মোহাম্মদ জাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান শামীম ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য আব্দুর রহিমসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password