মার্কিন সুপার মডেল কিম কার্দাশিয়ান। র্যাপার কেনি ওয়েস্টের সঙ্গে বিয়ের পর তাকে কিম কার্দাশিয়ান ওয়েস্ট নামে চেনেন বিশ্ববাসী। ২১ অক্টোবর, ১৯৮০ সালে জন্ম নেওয়া এ তারকা ২০১৪ সালে কেনি ওয়েস্টের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধেন। এটি তার তৃতীয় বিয়ে। চার সন্তানের জননী কিমের এ সংসারটিও ভেঙে যায় সাত বছর পর। কিমের সঙ্গে কেনের প্রথম আলাপ ২০০৪ সালে, একটি মিউজিক ভিডিওর শুটিংয়ে। সে সময় তার দাম্পত্য চলছিল ড্যামন থমাসের সঙ্গে। তবে একই বছর থমাসকে ত্যাগ করেন কিম। শেষ হয় চার বছরের প্রথম দাম্পত্য জীবন।
থমাসের সঙ্গে বিচ্ছেদ হতেই কিম জড়িয়ে পড়েন সংগীতশিল্পী ‘রে জে’র সঙ্গে। যদিও বেশিদিন টেকেনি সেই প্রণয়। এরপর ২০১০ সালের অক্টোবরে কার্দাশিয়ান এনবিএ খেলোয়াড় ক্রিস হামফ্রিজের সঙ্গে জড়ান এবং ২০১১ সালে ঢাকঢোল পিটিয়ে বিয়ে করেন। অথচ মাত্র ৭২ দিন যেতেই মতপার্থক্যের অভিযোগ এনে ডিভোর্স আবেদন করেন। সে সময় অনেকেই মন্তব্য করেন, কার্দাশিয়ান হামফ্রিজকে বিয়ে করেছেন মূলত তাদের পরিবারের ব্র্যান্ড এবং তার পরবর্তী টেলিভিশন শো প্রমোট করার উদ্দেশ্যে।
বারবার বিয়ে ডিভোর্স এসব নিয়ে হাঁপিয়ে ওঠেন কিম। হামফ্রিজের সঙ্গে বিচ্ছেদ সম্পন্ন হওয়ার আগেই কিছুটা স্বস্তির আশায় ফিরে যান বহু দিনের পুরোনো বন্ধু কেনির কাছে। আলাপের ৮ বছর পর দুজনেই স্বীকার করেন তাদের সম্পর্কের কথা। এরপর বিয়ে করেন ২০১৪ সালে। ভালোই চলছিল এ দম্পতির সংসার। হঠাৎ গত বছর কেনির ‘বাইপোলার ডিজওর্ডার’ নামে একটি মানসিক রোগের কথা প্রকাশ্যে আনেন কিম। বলেন, নিজেই আর এ জটিল পরিস্থিতির সঙ্গে কুলিয়ে উঠতে পারছেন না। তাই মানসিকভাবে বিধ্বস্ত হয়েই ডিভোর্সের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তিনি।
২০০৭ সালে সঙ্গী রে জে’র সঙ্গে যৌনকর্মের ভিডিও ফাঁস হলে আলোচনায় আসেন কিম। এরপরই কিম রিয়েলিটি শো ‘কিপিং আপ উইথ দ্য কার্দাশিয়ানস’ নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এই শোটি নিয়েই আলোচনার টেবিলে ঝড় তোলেন এ সুপার মডেল। স্থান করে নেন সর্বোচ্চ আয়ের টেলিভিশন তারকা হিসাবে। ‘কিপিং আপ’র সাফল্যের পর তিনি পর্দায় উপস্থিত হন ‘কোর্টনি অ্যান্ড কিম টেইক নিউইয়র্ক’ ও ‘কোর্টনি অ্যান্ড কিম টেইক মায়ামি’ শো নিয়ে।
এ ছাড়া সাম্প্রতিক বছরগুলোতে নিজের পরিচয়ে কিছু ব্যবসাও পরিচালনা করছেন এ আবেদনময়ী তারকা। আমেরিকার বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে থাকা বিলাসবহুল প্রাসাদের মালিক এ মডেলের রয়েছে বিশাল অঙ্কের সম্পদ। ব্যাপক বিত্তবৈভবের মালিক কিম একাধারে একজন রিয়েলিটি টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব, অভিনেত্রী, সমাজকর্মী, ব্যবসায়ী এবং মডেল। এক কথায় বলা যায় সফল নারী। জীবনের নানা চড়াই উতরাই পেরিয়ে এসেছেন আজকের অবস্থানে। ভালো থাকার আশায় গাঁট বেঁধেছেন এধার-ওধার। কিন্তু কতটা ভালো থাকতে পেরেছেন? কর্মজীবনে সফল এ নারী কিন্তু ব্যক্তি জীবন নিয়ে মোটেও স্বস্তিতে নেই।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন