কিডনিতে পাথর জমছে কি

কিডনিতে পাথর জমছে কি
MostPlay

আমাদের দেশে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে।

বিশেষ করে কিডনি স্টোন বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়।

কিডনির সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা।

আমাদের দেশে কিডনির সমস্যায় আক্রান্ত মানুষের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। বিশেষ করে বা বৃক্কে পাথর জমার সমস্যার কথা এখন প্রায়শই শোনা যায়। কিডনির সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম হল স্টোন বা পাথর হওয়ার সমস্যা। কিডনি স্টোনের প্রাথমিক লক্ষণগুলি নির্ভর করে স্টোন কিডনির কোথায় এবং কী ভাবে রয়েছে। কিডনিতে স্টোনের আকার-আকৃতিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। পাথর খুব ছোট হলে সেটি কোনও ব্যথা-বেদনা ছাড়াই দীর্ঘদিন পর্যন্ত শরীরে থাকতে পারে! ফলে টেরও পাওয়া যায় না।

প্রতিবছর অনেক মানুষ এ রোগে মারা যায়। এ ধরনের রোগের চিকিৎসাও বেশ ব্যয়বহুল। তাই আগে থেকেই কিডনির যত্ন নেয়া উচিত। মানুষের শরীর জটিল। প্রত্যেকটা অঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ গোটা শরীরকে সুস্থ রাখতে। কোনও একটি বেগতিক হলেও বিপদ। ফুসফুস কিংবা কিংবা হৃৎপিণ্ডের যতটা গুরুত্ব, ঠিক ততটাই প্রয়োজনীয় কিডনি (Kidney) জোড়া। কিন্তু আপনি এদের খেয়াল রাখেন কি?কিডনির সমস্যা এলে সকলের আগে প্রভাব পড়বে মূত্রে। তাই রঙের বদল হলে খেয়াল রাখুন। লালচে বা বাদামি প্রস্রাব পাথর জমলেও হয়। তাই চিকিৎসকের দ্বারস্থ হন। অনেকের ক্ষেত্রেই সমস্যা জানান দেয় দেখে নিন সেগুলি-

 রক্তবর্ণের প্রসাব।

 বমি বমি ভাব। অনেক সময় বমিও হতে পারে।

 কোমরে ব্যথা। এই ব্যথা তীব্র তবে সাধারণত খুব বেশি ক্ষণ স্থায়ী হয় না। ব্যথা কিডনির অবস্থান থেকে তলপেটেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।

 ঘুসেঘুসে জ্বর ঘুরে ফিরে আসে কারোও কারোও ক্ষেত্রে। সঙ্গে বমি হওয়ার আশঙ্কাও থাকে।

 প্রায়ই কি মূত্রথলি বা প্রস্রাবে সংক্রমণ হয়? তা হলে প্রথম থেকে সতর্ক হয়ে যান। এবং চিকিৎসা করান। লক্ষণ জানা থাকলে এই অসুখ নিয়ে আগাম সচেতন হওয়া যায়, এতে শারীরিক কষ্টও কিছুটা লাঘব করা সম্ভব হয়। আবার দ্রুত চিকিৎসা শুরু হওয়ায় অস্ত্রোপচার এড়ানোও যায় অনেক সময়।

সতর্কতা:

 কিডনি স্টোন-এর ঝুঁকি এড়াতে হলে অবশ্যই প্রচুর পরিমাণে জল খেতে হবে।

 কখনও প্রসাব আটকে বা চেপে রাখবেন না! প্রসাবের বেগ আসলে চেষ্টা করবেন সঙ্গে সঙ্গে প্রসাব করার।

• প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি যুক্ত খাবার খান।

• দুধ, পনির বা দুগ্ধজাত খাবার অতিরিক্ত মাত্রায় না খাওয়াই ভাল।

• বারবার ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে দ্রুত চিকিত্সকের পরামর্শ নিন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password