তারেক মাসুদ এবং মিশুক মুনীরকে হারানোর ১০ বছর

তারেক মাসুদ এবং মিশুক মুনীরকে হারানোর ১০ বছর তারেক মাসুদ ও মিশুক মুনীর

বিখ্যাত চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ এবং এটিএন নিউজের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিশুক মুনীরের মর্মান্তিক মৃত্যুর আজ ১০ বছর পূর্ণ হলো।

২০১১ সালে আজকের দিনে (১৩ই আগস্ট) "কাগজের ফুল" সিনেমাটির শ্যুটিং স্পট দেখে ঢাকায় ফিরছিলেন চলচ্চিত্রকার তারেক মাসুদ। তার সঙ্গে ছিলেন স্ত্রী ক্যাথরিন মাসুদ, সাংবাদিক ও চিত্রগ্রাহক আশফাক মুনীর চৌধুরী (মিশুক মুনীর), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ঢালী আল মামুন এবং তার স্ত্রী। এছাড়া ছিলেন প্রডাকশন সহকারী দুইজন। তাদের গাড়িটি চালাচ্ছিলেন ড্রাইভার মোস্তাফিজুর রহমান।

যাত্রাপথে মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলার জুকা নামের একটি জায়গায় তাদের মাইক্রোবাস এবং যাত্রীবাহী একটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। মূলত ঘটনাটি ঢাকা আরিচা মহাসড়কেই ঘটেছিল। এই সংঘর্ষে মাইক্রোবাসে থাকা পাঁচজন মৃত্যুবরণ করেন যাদের মধ্যে ছিলেন তারেক মাসুদ এবং মিশুক মুনীরের। চলচ্চিত্র জগতের যেন দুটি রত্নকে হারিয়ে ফেললাম আমরা সেদিন।

আশফাক মুনীর চৌধুরী যাকে মানুষ মিশুক মুনীর নামেই চিনতেন, তিনি ছিলেন শহীদ বুদ্ধিজীবী মুনীর চৌধুরীর ছেলে। দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ভিডিওগ্রাহক হিসেবে বিবিসিতে তিনি কাজ করেছেন দীর্ঘদিন। তারেক মাসুদ ও ছিলেন অসাধারণ ব্যক্তিত্বসম্পন্ন একজন মানুষ। বাংলাদেশের স্বাধীন পরিচালক,প্রযোজক, লেখক ও চিত্রগ্রাহক হিসেবে সর্বত্র ছিল তার সুখ্যাতি।

২০০২ সালে তার প্রথম পূর্ণদৈঘ্য চলচ্চিত্র 'মাটির ময়না' মুক্তি পায় এবং ছবিটি কান চলচ্চিত্র উৎসবে মুক্তি পায়। প্রচুর প্রশংসা পেয়েছিলেন তিনি চলচ্চিত্রটির জন্য। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে দেখতে হয়নি। একের পর এক সফল চলচ্চিত্র তৈরি করেন। কিন্তু তার শেষ স্বপ্ন 'কাগজের ফুল' চলচ্চিত্রটি অসম্পূর্ণই থেকে যায়, থেমে যায় তার মৃত্যুর সাথে।

চলচ্চিত্র জগতে অসামান্য অবদান রেখে গিয়েছিলেন গুণী এই দুজন ব্যক্তি।২০১২ সালে তাদের নিজ নিজ ক্ষেত্রে অসামান্য অবদান এর স্বীকৃতিস্বরুপ একুশে পদকে (মরণোত্তর) ভূষিত করেন সরকার।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password