কঠোর লকডাউনে মসজিদে নামাজ আদায়ে মানতে হবে নির্দেশনা

কঠোর লকডাউনে মসজিদে নামাজ আদায়ে মানতে হবে নির্দেশনা

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে দেশে চলছে কঠোর লকডাউন। জরুরি সেবায় নিয়োজিত ছাড়া সরকারি বেসরকারি অফিসও বন্ধ রয়েছে। বিধিনিষেধের এই সময়ে মসজিদে নামাজ আদায়ের ক্ষেত্রেও দিকনির্দেশনা জারি করেছে ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়।এসব নির্দেশনায় মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন ছাড়াও মসজিদে কেবল ফরজ নামাজ আদায় করতে বলা হয়েছে।

মঙ্গলবার (৬ জুলাই) ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) মো. কুদ্দুস আলী সরকার স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবজনিত কারণে সারাদেশে করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর হার অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যাওয়ায় মসজিদে নামাজ আদায়সহ বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয়ে পালনীয় নির্দেশনা নির্ধারণ করেছে মন্ত্রণালয়।

নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মসজিদে প্রবেশের ক্ষেত্রে দরজায় হ্যান্ড স্যানিটাইজার বা হাত ধোয়ার ব্যবস্থাসহ সাবান-পানি রাখতে হবে। মুসল্লিদের অবশ্যই মাস্ক পরে মসজিদে আসতে হবে। একইসঙ্গে মুসল্লিদের বাসায় থেকেই ওজু করে সুন্নত ও নফল নামাজ আদায় করতে হবে। কেবল ফরজ নামাজ আদায় করতে মসজিদে আসতে হবে।ওজু করার সময় কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুতে হবে বলেও নির্দেশনা দিয়েছে মন্ত্রণালয়।

কাতারে নামাজে দাঁড়ানোর ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশু, বয়োবৃদ্ধ, অসুস্থ ব্যক্তি ও অসুস্থদের সেবায় নিয়োজিত ব্যক্তিদের জামাতে অংশ নেয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে ধর্মবিষয়ক মন্ত্রণালয়।

পাশাপাশি সংক্রমণ রোধ নিশ্চিত করতে মসজিদের ওজুখানায় সাবান বা হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে বলা হয়েছে। মসজিদে সংরক্ষিত জায়নামাজ ও টুপি ব্যবহার করা যাবে না বলেও নির্দেশনায় বলা হয়। ‌

মসজিদে কার্পেট বিছানো যাবে না। প্রতি ওয়াক্ত নামাজের আগে সম্পূর্ণ মসজিদ জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। মুসল্লিদের প্রত্যেককে নিজ নিজ দায়িত্বে জায়নামাজ নিয়ে আসতে হবে। মন্ত্রণালয় বলছে, এর বাইরেও সবার সুরক্ষা নিশ্চিত করতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, স্থানীয় প্রশাসন এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অবশ্যই অনুসরণ করতে হবে।

মহামারি থেকে রক্ষা পেতে নামাজ শেষে দোয়া করতে হবে। খতিব, ইমাম ও মসজিদ পরিচালনা কমিটিকে এই নির্দেশনাগুলেঅ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এসব নির্দেশনা লঙ্ঘিত হলে স্থানীয় প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারবেন।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয় প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং সংশ্লিষ্ট মসজিদের পরিচালনা কমিটিকে নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে অনুরোধ জানিয়েছে মন্ত্রণালয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password