যশোরে র‌্যাব সেজে ঠিকাদারকে অপহরণ, দেড়লাখ টাকা আদায়

যশোরে র‌্যাব সেজে ঠিকাদারকে অপহরণ, দেড়লাখ টাকা আদায়

যশোরের রেলগেট এলাকা থেকে র‌্যাব সেজে এক ঠিকাদারকে অপহরণ করে দেড় লাখ টাকা আদায়ের অভিযোগ করা হয়েছে কোতোয়ালি থানায়। ভুক্তভোগী ঠিকাদার বিল্লাল খাঁর অভিযোগটি তদন্ত করছে থানা পুলিশ।

অভিযোগে বলা হয়েছে, ১৫ মার্চ সকালে যশোর শহরের রেলগেট পশ্চিম পাড়া এলাকার ঠিকাদার বিল্লাল খাঁ ফজরের নামাজ শেষে আরো কয়েকজন নামাজি ব্যক্তিকে নিয়ে রেলগেটের গফফারের চায়ের দোকানে চা পান করছিলেন। এ সময় একটি সাদা মাইক্রো এসে সেখানে থামে। তারা নিজেদেরকে র‌্যাব সদস্য পরিচয় দিয়ে বিল্লাল খাঁকে বলে তার নামে মামলা আছে, তাকে তাদের টিমের সাথে যেতে হবে। জোর করেই তারা বিল্লালকে মাইক্রোতে উঠিয়ে নিয়ে চলে যায়।

বিল্লাল খাঁ অভিযোগে জানিয়েছেন, তাকে নিয়ে মাইক্রোটি রেলস্টেশন হয়ে মণিহার খুলনা স্ট্যান্ড থেকে নড়াইলের দিকে চলে যায়। মাইক্রোতে ওঠার সময় একই এলাকার মৃত মোহাম্মদ সরদারের ছেলে আব্দুস সাত্তার ও ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার শালসাভাঙ্গীর আব্দুর রহমান সালামের ছেলে হাবিবুর রহমান শাওনকে গাড়িতে বসা দেখেন। তাদের সাথে বিল্লাল খাঁর পূর্ব শত্রুতা চলে আসছিল। মাইক্রোতে তোলার পর অপরহরণকারীরা তার চোখ বেঁধে ফেলে।

সাত্তার এসময় তাকে দু’টি ঘুষিও মারে। গাড়িতে পাঁচ জন বসা ছিল। এরা তাকে বলে, বিল্লাল তোকে খুনের অর্ডার আছে। তবে বাঁচতে হলে আট লাখ টাকা দিতে হবে। কালনা ঘাট পার হওয়ার পর অপহরণকারীরা তার চোখ খুলে দেয়। এসময় দর কষাকষির এক পর্যায়ে দুই লাখ টাকা ধার্য করে। বিল্লাল খাঁর পরিবারের সদস্যরা মোবাইলে নগদ ও বিকাশের মোট ৪ টি নাম্বারে দেড় লাখ টাকা পাঠায়। বিল্লাল খাঁ বাকি ৫০ হাজার টাকা বাড়ি ফেরার পর পরিশোধ করবে অঙ্গীকার করে অজ্ঞাত স্থানে ছাড়া পায়। লোকের কাছে তিনি জানতে পারেন তাকে গোপালগঞ্জে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। পরে তিনি বাসে করে বাড়ি ফেরেন। ফিরে এসেই কোতোয়ালি মডেল থানায় অভিযোগ করেন।

কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই শঙ্কর অভিযোগটির তদন্ত করছেন। তিনি প্রথমেই আব্দুর সাত্তারের বাড়ি অভিযান চালিয়েছেন। তবে আব্দুস সাত্তারকে বাড়িতে পাননি। তিনিসহ পুলিশ ঘটনাস্থলও পরিদর্শন করেছেন। এদিকে অপহরণকারী চক্র বাকি ৫০ হাজার টাকার জন্য আবারো মোবাইল ফোনে তাগিদ দিয়েছে।

 এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা এসআই শংকর কুমার জানিয়েছেন, তিনি অভিযোগটির ব্যাপারে খোঁজখবর নিচ্ছেন। আসামিদের খোঁজ পাননি। আসামি পক্ষের সাথে বিল্লাল খাঁর শত্রুতা ছিল কিনা, কোনো লেনদেন ছিল কিনা খোঁজ নেয়া হচ্ছে। এছাড়া অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায় সংক্রান্ত তথ্য প্রমান যাচাই বাছাই করছেন। এ বিষয় নিয়ে উপরের অফিসারগণও খোঁজ খবর নিচ্ছেন।
 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password