খাগড়াছড়িতে করোনায় ধূসর বৈসাবি উৎসব

খাগড়াছড়িতে করোনায় ধূসর বৈসাবি উৎসব
পাহাড়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎসব বৈসাবি। ত্রিপুরাদের বৈসু, মারমাদের সাংগ্রাই আর চাকমাদের বিঝু- এ তিন উৎসবের আদ্যাক্ষর নিয়ে তৈরি বৈসাবি শব্দটি।বছরের পর বছর ধরে চললেও গত বছরের মতো এবছরও করোনার থাবায় ধূসর হয়ে গেছে পাহাড়ের এ প্রাণের উৎসব। ১২ এপ্রিল ভোরে সুর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গে নদীতে ফুল ভাসানোর মধ্য দিয়ে পাহাড়ে শুরু হয় এ উৎসব। ১৩ এপ্রিল অর্থাৎ নববর্ষের আগের দিন ‘হারি বৈসু’ আর নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে মারমাদের সাংগ্রাইয়ের সূচনা হয়। ১২ এপ্রিল শুরু হয়ে বৈসাবি উৎসব চলে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত। তবে কোথাও কোথাও এ উৎসব চলে সপ্তাহ ধরে। সারাদেশে একই নিয়মে পহেলা বৈশাখ উদযাপিত হলেও পাহাড়ে ভিন্ন আমেজে আর উৎসবমুখর পরিবেশে উদযাপিত হয় বৈসাবি। স্থানীয় বাঙালীরাও একাকার হয়ে মিশে যায় বৈচিত্রময় এ উৎসবে। এ বছর উৎসব শুরুর মাত্র একদিন বাকি থাকলেও পাহাড়ে নেই উৎসব আমেজ। থাকছে না বিভিন্ন সম্প্রদায়ের অংশগ্রহণে বৈসাবি উৎসবের শোভাযাত্রা আর খাগড়াছড়ির পানখাইয়াপাড়ার বটতলায় বর্ণিল জলকেলি উৎসব। খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য হিরন জয় ত্রিপুরা বলেন, করোনার কারণে গত বছর উৎসব পালন করতে পারিনি। এ বছরও করোনা পিছু ছাড়েনি। তবে এ মুহূর্তে উৎসব পালনের চেয়ে নিজেদের বেঁচে থাকাটাই জরুরি। তাই এ বছরও বৈসাবি উৎসবের কোনো আনুষ্ঠানিকতা থাকছে না। প্রসঙ্গত, ১৯৮৫ সাল থেকে খাগড়াছড়িসহ পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত চাকমা, মারমা ও ত্রিপুরা সম্প্রদায়ের সম্মিলিত উদ্যোগে বৈসাবি নামের এ উৎসব পালিত হয়ে আসছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password