কঙ্গনাকে চড় মেরে বরখাস্ত নারী নিরাপত্তাকর্মী

কঙ্গনাকে চড় মেরে বরখাস্ত নারী নিরাপত্তাকর্মী

কঙ্গনা রানাওয়াতকে থাপ্পড় মারার ঘটনায় ভারতের সিআইএসএফ সদস্য কুলবিন্দরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সঙ্গে তাকে বরখাস্ত করেছে সিআইএসএফ। ভারতের নবনির্বাচিত সংসদ সদস্য তথা বলিউড অভিনেত্রী কঙ্গনা রনৌতকে চড় মেরেছেন দেশটির সিআইএসএফ জওয়ান কুলবিন্দর কৌর। এই ঘটনায় ওই মহিলা জওয়ানের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের খবর, তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। একই সঙ্গে সিআইএসএফ তাকে সাসপেন্ড করেছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) চণ্ডীগড় থেকে দিল্লি আসার জন্য বিমানবন্দর যাচ্ছিছিলেন কঙ্গনা। চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে সিকিউরিটি চেকের সময়ই ঘটে বিপত্তি।

নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ান কুলবিন্দর কৌর তাঁকে সপাটে চড় মারেন। বিষয়টি নিয়ে আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিয়েছেন কঙ্গনা। তাঁর প্রতিক্রিয়া কঙ্গনার মনে করছেন, ওই জওয়ানের কাজটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হতে পারে। কঙ্গনার ভাষ্য, ‘‘ওই জওয়ান কৌশলে আমার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন, যে আমি কখন তাঁর সামনে দিয়ে যাব?

ঠিক খালিস্তানি স্টাইলে পেছন থেকে এসে কোনও কথা না বলে আমার মুখে উনি আঘাত করেন। যখন আমি জিজ্ঞেস করলাম, ‘কেন এটা করলেন?’ তখন তিনি অন্যদিকে তাকিয়ে নিজের দিকে ফোনের ক্যামেরা রেখে কথা বলতে শুরু করলেন। (যেমনটি আপনারাও ওঁর ভিডিওতে দেখেছেন)। উনি হঠাৎ জনসাধারণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

কৃষক আইন বাতিল করা হয়েছে এবং সেগুলো নিয়ে আর কারও কোনও উদ্বেগ নেই। সম্ভবত এটা ছিল তাঁর খালিস্তানি ব্যান্ডওয়াগনে যোগ দেওয়ার উপায়, যা পাঞ্জাবে প্রধান রাজনৈতিক আসন পাচ্ছে।’’ অনেকের মতে, খালিস্তান আন্দোলন হলো একটি বিচ্ছিন্নতাবাদী আন্দোলন; যা পাঞ্জাব অঞ্চলে খালিস্তান নামে একটি জাতি—ধর্মীয় সার্বভৌম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করে শিখদের জন্য একটি আবাসভূমি তৈরি করতে চায়। অন্য অনেকের মতে, এটি স্বাধীনতাকামীদের আন্দোলন।

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয় সেই চড় কাণ্ড। এতে দেখা গেছে, চড় মারায় অভিযুক্ত সিআইএসএফ জওয়ানকে বলছেন, ‘দিল্লিতে যখন কৃষকরা আন্দোলন করছিলেন, তখন কঙ্গনা বলেছিলেন ১০০-২০০ টাকা পেয়ে ওরা আন্দোলন করছে। আমার মা ওখানে ছিল, আন্দোলন করছিল।’ ৪ বছর আগে বর্তমান এক্স হ্যান্ডলে কৃষক আন্দোলনের সময় এক বৃদ্ধার ছবি পোস্ট করে কঙ্গনা লিখেছিলেন, ‘তিনি বিলকিস বানো, শাহিনবাগ আন্দোলনের অন্যতম মুখ।

১০০ টাকায় ভাড়া পাওয়া যায় তাঁকে।’ কঙ্গনার এই বক্তব্য ঘিরে বিতর্ক দানা বাঁধে। পরে ওই পোস্টটি ডিলিট করে দেন তিনি। এদিকে, ইতিমধ্যেই চণ্ডীগড়ের পুলিশ সুপার (গোয়েন্দা) কে এস সান্ধু চণ্ডীগড় বিমানবন্দরে পৌঁছে কঙ্গনার ঘটনা নিয়ে সিআইএসএফ অফিসারের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী নয়াব সিং সাইনি জানিয়েছেন, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password