টঙ্গীতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা

টঙ্গীতে অষ্টম শ্রেণির ছাত্রকে অপহরণের পর হত্যা

গাজীপুর মেট্রোপলিটনের টঙ্গীতে অষ্টম শ্রেণির এক ছাত্রকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবি করে দুর্বৃত্তরা। মুক্তিপণের টাকা না পেয়ে ওই ছাত্রকে হত্যা করে টঙ্গীর তুরাগ নদীতে ফেলে দেয়।এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত একজনকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তিনি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার রামগনর গ্রামের মৃত ইমাম হোসেনের ছেলে মোহাম্মদ আতাউল হোসেন (৩৫)।

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান জানান, গত ১৯ মার্চ সন্ধ্যায় টঙ্গীর তুরাগ নদীর শাখা নদে অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ। এ ঘটনায় পর দিন অজ্ঞাত আসামি করে টঙ্গী পশ্চিম থানার মামলা হয়। মামলাটির তদন্ত কালে ভিকটিমের পরিচয় নির্ণয়ের জন্য আশপাশের জেলায় ভিকটিমের ছবিসহ বেতার বার্তা প্রেরণ করা হয়।পরে খোঁজ হয় ওই ছাত্র নিখোঁজ সংক্রান্ত ঢাকার তুরাগ থানায় একটি জিডি হয়েছে। ওই জিডির সূত্র ধরে থানা পুলিশ ভিকটিমের অস্থায়ী ঠিকানা ঢাকার কামারপাড়ায় গিয়ে তার বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলে পরিচয় নিশ্চিত হয়।

মৃত ইসমাইল সরকার (১৪) সিরাজগঞ্জ জেলার রামগঞ্জ থানার ধানঘারা গ্রামের মো. নূর নবী সরকারের ছেলে। সে কামারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র ছিল। পরে টঙ্গী পশ্চিম থানা পুলিশ ভিকটিমের বাবা-মা ও আশপাশের লোকজনের কথা বলে ও বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের পর নিশ্চিত হয়ে প্রকৃত আসামি মোহাম্মদ আতাউল হোসেনকে গ্রেফতার করে। জাকির হাসান আরও জানান, গ্রেফতারকৃত আতাউল ওই ঘটনার সঙ্গে জড়িত মর্মে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। তিনিসহ আরও দুইজন ওই স্কুলছাত্রের বাবার কাছে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। পরে ওই টাকা না পাওয়ায় তারা ইসমাইল হোসেনকে হত্যা করে তার লাশ তুরাগ নদীতে ফেলে দেয়।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password