অর্থ আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জ মালিকদের রিমান্ড মঞ্জুর

অর্থ আত্মসাতের মামলায় ই-অরেঞ্জ মালিকদের রিমান্ড মঞ্জুর
MostPlay

ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন , মাসুকুর রহমানসহ তিন জনের পাঁচ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ২৩ আগস্ট ২০২১ ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোর্শেদ আল মামুন ভূইয়া শুনানি শেষে রিমান্ডের এ আদেশ দেন। অপর আসামি হলেন- ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্ল্যাহ।

১৯ আগস্ট ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয় আমান উল্ল্যাহকে। পরে গুলশান থানায় প্রতারণা ও অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে দায়ের করা মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিক ২৩ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা ও আসামির উপস্থিতিতে শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন।

তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। আজ "সোমবার " কারাগারে থাকা আসামি ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন , মাসুকুর রহমানের ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ বিরোধিতা করেন। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক ৫ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এর আগে গত মঙ্গলবার ই–অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তাঁর স্বামী মাসুকুর রহমানকে কারাগারে পাঠানো হয়।

ওই দিন ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলে জামিন না মঞ্জুর করে তাঁদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়। মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় ই–অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মো. তাহেরুল ইসলাম নামে এক ভুক্তভোগী বাদী হয়ে গুলশান থানায় প্রতারণার মামলা করেন। আসামিরা হলেন–সোনিয়া মেহজাবিন, মাসুকুর রহমান, আমানুল্লাহ, বীথি আক্তার, কাওসার এবং ই–অরেঞ্জের সব মালিক।

তবে প্রতিষ্ঠানটির কতজন মালিক রয়েছেন তা উল্লেখ করা হয়নি মামলায়। গত ১৬ আগস্ট রাতে করা মামলায় বলা হয়েছে, গত এপ্রিলে আবু তাহের ই–অরেঞ্জের বিভিন্ন পণ্য অর্ডার করে অগ্রিম টাকা পরিশোধ করেন। কিন্তু আজ পর্যন্ত তাঁরা কোনো পণ্য পাননি। প্রায় এক লাখ ক্রেতার কাছ থেকে টাকা নিয়ে তাদের পণ্য দেয়নি প্রতিষ্ঠানটি। এভাবে ই–অরেঞ্জ ১১শ কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ করা হয়। মামলা করার আরো কয়েকজন ভুক্তভোগী উপস্থিত ছিলেন।

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password