করোনা মহামারীতে ভারতের অবস্থা নাজেহাল। প্রতিদিন প্রায় ৩ লক্ষের উপর নতুন আক্রান্ত হচ্ছে সাথে দুই হাজারের বেশি লোক মারা যাচ্ছে। করোনা আতঙ্কেই চলছে আইপিএল। পুরো ভারতে অক্সিজেনের অভাবে ভুগছে। নিত্যদিন অক্সিজেনের অভাবে মানুষ মরছে। সেখানে আইপিএল হওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত সেই নিয়ে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে। দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও শোয়েব আক্তার আইপিএল বন্ধের দাবি তুলেছেন।
তবে এবার আইপিএল ঘিরে তৈরি হয়েছে সংশয়। টুর্নামেন্টের মাঝপথে এসে একের পর এক খেলোয়াড় হারাচ্ছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ। ইতিমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার অ্যান্ড্রু টাই, অ্যাজাম জাম্পা ও কেন রিচার্ডসন, ইংল্যান্ডের লিভিংস্টোন ভারত ছেড়েছেন। সর্বশেষ এই তালিকায় যোগ দিয়েছেন দিল্লির ভারতীয় অফ স্পিনার রবিচন্দ্রন অশ্বিন। মঙ্গলবার দিল্লির পরের ম্যাচের ভেন্যু আহমেদাবাদ। তবে দলের সঙ্গে সেখানে যাবেন না অশ্বিন।
বরং তামিল নাড়ুতেই থেকে যাবেন, চলে যাবেন পরিবারের কাছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম টুইটারে নিজের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে অশ্বিন লিখেছেন, এবারের আইপিএল থেকে আমি বিরতি নিচ্ছি। আমার পরিবার ও পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা কোভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়ছে। এই কঠিন সময়ে তাদের পাশে দাঁড়াতে চাই। পরিস্থিতি ঠিক হলে আবার মাঠে ফিরতে চাই। ধন্যবাদ দিল্লি ক্যাপিট্যালস। শোনা যাচ্ছে চেন্নাইয়ের ব্যটিং কোচ মাইক হাসিও নাকিও বিদায় জানিয়েছেন এবারের আইপিএলকে। তবে এ ব্যাপারে আনুষ্ঠানিক কোন ঘোষনা আসেনি। গুঞ্জন আছে এই লিষ্টে আছেন আরও বেশ কয়জন বিদেশি খেলোয়াড়। একের পর এক ক্রিকেটার চলে যাওয়ার কারণে আইপিএল শেষ হওয়া নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এমত অবস্থায় আইপিএল দলগুলোও পরেছে বেশ বিপদে। খেলোয়াড় সংকটে পরতে হচ্ছে দলগুলোকে। আইপিএল দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বিপদে পড়েছে রাজস্থ্যান রয়্যালস। এমনিতেই টুর্নামেট শুরুর সময় ইনজুরীড় কারণে তারা স্টোকস ও আর্চারকে হারিয়েছে। এখন তাদের দল থেকে চলে গেছে টাই ও লিভিংস্টোন। তাদের দলে এখন রয়েছে মোট চারজন বিদেশী খেলোয়াড়। অবশিষ্ট চারজনকে খেলানো ছাড়া উপায় নেই তাদের হাতে।
মন্তব্যসমূহ (০) কমেন্ট করতে ক্লিক করুন