৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ধর্ষণের মামলা সমাপ্তের দাবি

৩০ কার্যদিবসের মধ্যে ধর্ষণের মামলা সমাপ্তের দাবি
ধর্ষণের মামলার বিচার ৩০ কার্যদিবসের সমাপ্ত ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে নওগাঁয় মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়েছেশনিবার দুপুরে শহরের মুক্তির মোড়ে স্থানীয় সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন একুশে পরিষদ এর আয়োজনে এ মানববন্ধন কর্মসূচি পালিত হয়।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ধর্ষণের মামলার বিচারে দীর্ঘসূত্রিতা ও দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়ায় সারা দেশে ধর্ষণের ঘটনা বেড়েই চলছে। সবচেয়ে নিকৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের অপরাধ হচ্ছে ধর্ষণ। এই অপরাধ এখন সামাজিক ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। ধর্ষণের মামলার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করলে এই অপরাধ অনেকটাই কমিয়ে আনা সম্ভব।

একুশে পরিষদ নওগাঁর সভাপতি ডিএম আব্দুল বারীর সভাপতিত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, একুশে পরিষদের উপদেষ্টা ও নওগাঁ সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ শরিফুল ইসলাম খান, নওগাঁ জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি খোদাদদ খান, একুশে পরিষদের উপদেষ্টা কায়েস উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা আল মেহমুদ, দপ্তর সম্পাদক খন্দকার হাশেম আলী প্রমুখ।

ডিএম আব্দুল বারী বলেন, সম্প্রতি সিলেটের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে স্বামীর সঙ্গে বেড়াতে গিয়ে তরুণী গৃহবধুকে গণধর্ষণ যাঁরা ঘটিয়েছেন তারা নিকৃষ্ট মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা ঘটিয়েছে। শুধু এ ঘটনাই নয় পত্রিকা পাতা খুললে এবং টেলিভিশনের খবর দেখলে মনে হয় সারা দেশে যেন ধর্ষণের সংস্কৃতি বিরাজ করছে। আজকে এমন একটা সংস্কৃতি তৈরি হয়েছে যেখানে সমাজের কোনো নারী, শিশু, কিশোরী- কেউই নিরাপদ নয়। যে কোনো সময় যে কেউ ধর্ষণের শিকার হতে পারে।

তিনি আরো বলেন, বিচারহীনতার সংস্কৃতির কারণে ধর্ষণের মতো ঘটনা বেড়েই চলছে। তাই আমাদের দাবি করছে, ধর্ষণের মামলার বিচার ৩০ কার্যদিবসের সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে। এতে এ ধরণের ঘটনা অনেকটাই কমে আসবে বলে আমরা বিশ্বাস করি।

জেলা যুবলীগের সভাপতি খোদাদদ খান বলেন, ধর্ষন কিংবা যে কোনো ফৌজদারী অপরাধের ক্ষেত্রে আইনগতভাবে তদন্ত কর্মকর্তাদের ৯০ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত চার্জ দেওয়ার কথা থাকলেও পুলিশের কর্মভার ও পক্ষপাতদুষ্টতা কিংবা প্রভাবশালী মহলের চাপের কারণে মামলার চার্জশিট সঠিক সময়ে দেওয়া হয় না। আবার বিচারিক প্রক্রিয়া শুরুর পর মাসের পর মাস চলে যায় মামলার রায় হতে। এতে ধর্ষণের শিকার ভুক্তভোগী নারী ও শিশুরা ন্যায়বিচার থেকে বঞ্চিত হোন। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক সাজা না হওয়ায় সমাজে এই ধরণের অপরাধ প্রবণতা আরও বেড়ে চলে। তাই ধর্ষণের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনার বিচার দ্রুত সম্পন্ন করে দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা উচিত।

নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি ও সংস্কৃতি কর্মী কায়েস উদ্দিন বলেন, ধর্ষণ আজকে সামাজিক ব্যধিতে পরিণত হয়েছে। তাই এই অপরাধের সামাজিক প্রতিকারের প্রয়োজন। ধর্ষণের মতো নিষ্ঠুরতা বন্ধে সমাজের সর্বস্তরের মানুষকে সচেতন করার পাশাপাশি ধর্ষণবিরোধী সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।

 

মন্তব্যসমূহ (০)


Lost Password